শিরোনাম

১১ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৭শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | সকাল ৮:৫২

বিসিজি টিকা না দেয়া দেশে করোনার সংক্রামণ বেশি

ডেইলি বরিশাল সংবাদ সংবাদ সংগ্রহে সারাক্ষন

প্রকাশিত: এপ্রিল ২, ২০২০ ৩:১৩ অপরাহ্ণ
Print Friendly and PDF

করোনাভাইরাসের মত নানা ধরণের ভাইরাস অতীতে মানুষ জাতিকে আক্রান্ত করেছে। এই তো ১৯১৮ সালের কথা। স্পেনিশ ফ্লু পৃথিবীর প্রায় পাঁচ কোটির বেশি মানুষের জীবন নিয়েছিল। বিসিজি টিকা প্রথম ১৯২১ সালে চিকিৎসামূলকভাবে ব্যবহৃত হয়েছিল।

তারপর এসেছে যেমন ডিপথেরিয়া (Diphtheria) দ্বারা সৃষ্ট একটি তীব্র সংক্রামক রোগ, জ্বর সৃষ্টি করে, গুরুতরভাবে গলা ফুলে যায়। একশ বছর আগের কথা। পরে ভ্যাকসিন তৈরি হয় এবং ১৯৪০ সালে এর ব্যবহার হয়।

ম্যালেরিয়া রোগের জন্য কুইনিন তৈরি হয়েছে ১৯২০ সালের দিকে। এভাবে লিস্ট করলে দেখা যাবে নানা রোগের জন্য নানা ধরণের ওষুধ বা ভ্যাকসিন পৃথিবীতে তৈরি করা হয়েছে।

উপরের সবগুলো ওষুধ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অপরিহার্য ওষুধগুলোর তালিকায় আছে। যেগুলো মৌলিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় প্রয়োজনীয় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ওষুধ।

টিকা (vaccin) তৈরি হওয়ার আগে বিশ্ব ছিল অনেক বেশি এক বিপদজনক জায়গা। এখন সহজেই আরোগ্য লাভ করা যায়। আগে এমন সব রোগে লক্ষ লক্ষ মানুষ মারা যেত।

টিকার ধারণা তৈরি হয় চীনে। ১০ম শতাব্দীতে ‘ভ্যারিওলেশন’ নামে এক চীনা চিকিৎসা পদ্ধতি ছিল যেখানে অসুস্থ রোগীর দেহ থেকে টিস্যু নিয়ে সেটা সুস্থ মানুষের দেহে বসিয়ে দেয়া হতো। টিকা আবিষ্কারের সময় থেকেই চিকিৎসার নতুন এই পথ নিয়ে সন্দেহ ছিল।

আগে মানুষ ধর্মীয় কারণে টিকার ব্যাপারে সন্দিহান ছিলেন। তারা মনে করতেন টিকার মাধ্যমে দেহ অপবিত্র হয়। এটা মানুষের সিদ্ধান্ত নেয়ার অধিকার খর্ব করে বলেও কিছু মানুষ মনে করতেন।

সপ্তদশ শতাব্দীতে ব্রিটেনের বিভিন্ন জায়গা জুড়ে টিকাবিরোধী লিগ গড়ে ওঠে। তারা বিকল্প ব্যবস্থার পরামর্শ দিতেন। যেমন রোগীকে আলাদা করে চিকিৎসা দেয়া। ব্রিটিশ টিকাবিরোধী ব্যক্তিত্ব উইলিয়াম টেব যুক্তরাষ্ট্র সফর করার পর সেখানেও এই ধরনের সংগঠন গড়ে ওঠে।

টিকাদানের ইস্যুটিকে ঘিরে রাজনীতিও বাড়ছে। ইতালির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ম্যাত্তেও সালভিনি বলেছেন তিনি টিকাবিরোধীদের দলে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কোনো সাক্ষ্য-প্রমাণ ছাড়াই বলার চেষ্টা করেছিলেন যে টিকার সঙ্গে অটিজমের সম্পর্ক রয়েছে। তবে সম্প্রতি তিনি সব শিশুকে টিকা দেয়ার তাগিদ দিয়েছেন।

যদি জনসংখ্যার একটা বড় অংশ টিকা নেয় তাহলে রোগের বিস্তার প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়। এর ফলে যাদের মধ্যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম, তারাও রোগের কবল থেকে রক্ষা পেতে পারে।

গত বছর ইংল্যান্ডের সবচেয়ে অভিজ্ঞ ডাক্তার হুঁশিয়ার করেছিলেন এই বলে যে সাধারণ মানুষ যেন সোশ্যাল মিডিয়ায় টিকার ওপর ভুয়া খবর পড়ে প্রতারিত না হন।

মার্কিন গবেষকরা দেখিয়েছেন রাশিয়ায় তৈরি কম্পিউটার প্রোগ্রাম ব্যবহার করে অনলাইনে টিকার ওপর মিথ্যা তথ্য প্রচার করা হচ্ছে যা সমাজে অস্থিরতা সৃষ্টি করছে।

সারা বিশ্বে ৮৫% শিশুকে টিকা দেয়ার হার গত কয়েক বছর ধরে অপরিবর্তিতই রয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, টিকার কারণে প্রতি বছর বিশ্বে ২০ থেকে ৩০ লক্ষ শিশুর প্রাণরক্ষা করা সম্ভব হচ্ছে।

তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, উন্নত দেশগুলোতেও এই বিষয়ে একটা ঢিলেমি এসেছে। কারণ এসব রোগ যে কত ভয়াবহ হতে পারে সেটা তারা ভুলেই গেছে। শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে টিকা দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা অনেক। কোন বয়স থেকে শিশুকে টিকা দেওয়া প্রয়োজন?

জন্মের ঠিক দেড় মাস বয়স থেকে টিকাগুলো শুরু করা উচিত। সঙ্গে বিসিজি ভ্যাকসিনও দেওয়া উচিত। বিসিজি ভ্যাকসিন অবশ্য জন্মের পর থেকেই দেওয়া যায়। জন্মের পর থেকে ৪৫ দিন পর্যন্ত যেকোনো সময় দেওয়া যায়।

কলেরা ভ্যাকসিনও বের হয়েছে। নয় মাস বয়স থেকেই এই রোগ প্রতিরোধে ভ্যাকসিন দেওয়া যায়। জীবনে একবার নিলে ভালো। নানা মাধ্যমে বলা হচ্ছে পৃথিবীর যে সব দেশে বিসিজি টিকাদান কর্মসূচি নেই যেমন ইতালি, নেদারল্যান্ড ও যুক্তরাষ্ট্রের মানুষের করোনায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।

তবে দীর্ঘস্থায়ী টিকাদান কর্মসূচি যেসব দেশে চালু আছে ওইসব দেশের মানুষের করোনায় আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা কম। গবেষণায় দাবি করা হচ্ছে বিসিজি টিকা আসার পর থেকে বিশ্বে মৃত্যুর হার উল্লেখযোগ্য হারে কমে গেছে।

উদাহরণস্বরূপ বলা হয়, মৃত্যুর হার বেশি হওয়ায় ১৯৮৪ সালে বিসিজি কার্যক্রম শুরু করে ইরান। দেশটিতে বিসিজি টিকা দেয়া মানুষের মধ্যে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি তেমন একটা পাওয়া যায়নি।

এছাড়া ইউরোপ এবং যুক্তরাষ্ট্রে বিসিজি টিকা না দেয়ার কারণে চীন এবং ভারতের চেয়ে করোনায় বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে গবেষণায় দাবি কর হয়। কারণ চীন এবং ভারতে বহুকাল ধরে বিসিজি টিকার প্রচলন রয়েছে।

সুইডেনে শিশুর জন্মের পর থেকে শুরু করে ১৮ মাসের মধ্যে নানা ধরণের টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। আজ সকালে ঘুম থেকে উঠে জনাথান এবং জেসিকার (আমার ছেলে-মেয়ে) ছোটবেলার জার্নাল খুলে দেখলাম এসব তথ্য যা এর আগে জানা হয়নি। কারণ আমার স্ত্রী এসব কাজ অত্যন্ত গুরুত্টিকা (vaccin) তৈরি হওয়ার আগে বিশ্ব ছিল অনেক বেশি এক বিপদজনক জায়গা। এখন সহজেই আরোগ্য লাভ করা যায়। আগে এমন সব রোগে লক্ষ লক্ষ মানুষ মারা যেত।

টিকার ধারণা তৈরি হয় চীনে। ১০ম শতাব্দীতে ‘ভ্যারিওলেশন’ নামে এক চীনা চিকিৎসা পদ্ধতি ছিল যেখানে অসুস্থ রোগীর দেহ থেকে টিস্যু নিয়ে সেটা সুস্থ মানুষের দেহে বসিয়ে দেয়া হতো। টিকা আবিষ্কারের সময় থেকেই চিকিৎসার নতুন এই পথ নিয়ে সন্দেহ ছিল।

আগে মানুষ ধর্মীয় কারণে টিকার ব্যাপারে সন্দিহান ছিলেন। তারা মনে করতেন টিকার মাধ্যমে দেহ অপবিত্র হয়। এটা মানুষের সিদ্ধান্ত নেয়ার অধিকার খর্ব করে বলেও কিছু মানুষ মনে করতেন।

সপ্তদশ শতাব্দীতে ব্রিটেনের বিভিন্ন জায়গা জুড়ে টিকাবিরোধী লিগ গড়ে ওঠে। তারা বিকল্প ব্যবস্থার পরামর্শ দিতেন। যেমন রোগীকে আলাদা করে চিকিৎসা দেয়া। ব্রিটিশ টিকাবিরোধী ব্যক্তিত্ব উইলিয়াম টেব যুক্তরাষ্ট্র সফর করার পর সেখানেও এই ধরনের সংগঠন গড়ে ওঠে।

টিকাদানের ইস্যুটিকে ঘিরে রাজনীতিও বাড়ছে। ইতালির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ম্যাত্তেও সালভিনি বলেছেন তিনি টিকাবিরোধীদের দলে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কোনো সাক্ষ্য-প্রমাণ ছাড়াই বলার চেষ্টা করেছিলেন যে টি

শেয়ার করুন :

বরিশাল সংবাদ ২৪

বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন।

বরিশাল সংবাদ ২৪

Call

নামাজের সময়সূচি
September 11, 2024
Fajr 4:27 am
Sunrise 5:39 am
Zuhr 11:54 am
Asr 4:21 pm
Maghrib 6:09 pm
Isha 7:22 pm
Dhaka, Bangladesh
September 2024
M T W T F S S
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
30  

সংবাদ সংগ্রহে সারাক্ষণ