শিরোনাম
পৃথিবীর অনেক স্থানের মতোই ভারতেও কোভিড-১৯ আক্রান্তদের মৃতদেহ শেষকৃত্য নিয়ে এক ধরনের অনীহা কাজ করতে দেখা গেছে স্বজনদের মাঝে। ফলে শেষকৃত্য নিয়ে দেশটির বিভিন্ন স্থানেই দেখা গেছে জটিল পরিস্থিতি তৈরি হতে।
এই পরিস্থিতি মোকাবেলায় ধর্মীয় বিধান মেনে মৃতদেহের শেষকৃত্য করার জন্য এগিয়ে এসেছেন ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় গুজরাট রাজ্যের বাসিন্দা আবদুল মালাবারি (৫১)। গত তিন দশক ধরে তিনি বেওয়ারিশ দাফন করে আসছেন। খবর বিবিসির।
এতকাল তিনি কেবল বেওয়ারিশ লাশ শেষকৃত্য করে এলেও এখন করোনা পরিস্থিতিতে বদলে গেছে দৃশ্যপট। অনেক ক্ষেত্রে স্বজনরাও করোনা রোগীর শেষকৃত্যে এগিয়ে আসছেন না।
আবদুল মালাবারি বলেন, যে কোনো সময় ফোন পেলেই ছুটে যাই লাশ দাফনে বা সৎকারে। গুজরাটের মিরাটে এ পর্যন্ত যে ১৯ জন করোনায় মারা গেছে, সবার শেষকৃত্যই করেছেন আবদুল মালাবারি।
গুজরাটে এ পর্যন্ত ৩ হাজার ৫৪৮ জন আক্রান্ত হয়েছেন, এদের মধ্যে ২৪৪ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
গুজরাটের ডেপুটি পুলিশ কমিশনার আশিষ নায়েক বলেন, এ দুর্যোগের সময় আমরা যখনই আবদুল ভাইকে ফোন দিয়েছি, তখনই তিনি লাশ দাফনে এগিয়ে এসেছেন।
তার মতো মহানুভব সমাজসেবী আর দেখিনি।
এটি তার সামাজিক দায়িত্ব মনে করে গত তিন দশক ধরে করে আসছেন আবদুল মালাবারি। করোনা রোগীদের দাফন ও সৎকার করায় তিনি ও তার সহযোগীরা কেউই বাড়ি যান না।
তারা তাদের অফিসেই রাত কাটান, যাতে পরিবারের সদস্যরা আক্রান্ত না হন। শুধু করোনা রোগী নয়, এইডস রোগী মারা গেলেও দাফন করেন তিনি।
১৯৯০ সালে সকিনা নামে এক এইডস রোগী মারা গেলে তার পরিবারের কেউ পর্যন্ত তাকে দাফন করতে যায়নি। তখন আবদুল মালাবারিই এগিয়ে যান তাকে দাফন করতে।
এভাবেই তিনি সমাজ ও রাষ্ট্রের কাছে গুরুত্বপূর্ণ ও শ্রদ্ধার মানুষ হয়ে উঠেছেন।