শিরোনাম
অতিথি প্রতিনিধি পটুয়াখালী অভিযোগ রয়েছে পটুয়াখালী ডিসি অফিসের ভূমি অধিকরণ শাখা (এল/এ) কানুনগো এবং সার্ভেয়ার দের নামে বিভিন্ন অনিয়ম,দুর্নীতি, জ্ঞাত বহিভূত সম্পদ সম্পত্তি অর্জন এবং ঘুষ বাণিজ্য সহো সরকারি জমি আত্মসাৎ করে বিক্রয়ের মাধ্যমে ব্যাপক টাকার দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে, প্রাথমিক অনুসন্ধান শেষে জানা যায় এখানে প্রত্যেক কানুনগো এবং সার্ভেয়ারদের নামে বিগত আওয়ামী সরকারের আমলে জ্ঞাত বহিভূত সম্পদ সম্পত্তি অর্জন দুর্নীতি এবং ঘুষ বাণিজ্যের মাধ্যমে প্রত্যেকে কোটিপতি বনে গেছেন প্রথম পর্বে আপাতত কানুনগো এবং সার্ভেয়ার দের নাম প্রকাশ করা হলো যথাক্রমে, কানুনগো ফজলুর রহমান এল/এ শাখায় কর্মরত ছিলেন বর্তমানে এস/এ শাখায় পদমর্যাদা হয়েছে কিন্তু সে এখনো এল/এ শাখায় কাজ চালিয়ে গেলেও আমাদের অনুসন্ধান টিম গেলে সে এস/এ শাখায় কাজ শুরু করেছে ,কানুনগো ইব্রাহিম এল/এ শাখা, কানুনগো শহিদুল এল/এ শাখা,সার্ভেয়ার মোশারফ এল/এ শাখা বর্তমানে তাকে কলাপাড়া বদলি করা হয়েছে ,সার্ভেয়ার আসাদ এল/এ শাখা,সার্ভেয়ার আবুল কালাম এল/এ শাখা,সার্ভেয়ার মুজিবর এল/এ শাখা,সার্ভেয়ার নাজমুল এল/এ শাখা সহ আরো বেশ কয়েকজন। এই পর্বে চার জনের ছবিসহ প্রকাশ করা হলো।
প্রাথমিক অনুসন্ধান শেষে প্রথম পর্বে কানুনগো শহিদুল ইসলামের ফিরিস্তি তুলে ধরা হলো দ্বিতীয় পর্বে সার্ভেয়ার মোশারফ এর ফিরিস্তি তুলে ধরা হবে। কানুনগো শহিদুল ইসলামের নামে বিভিন্ন অনিয়ম,দুর্নীতি,ঘুষ,সরকারি খাস জমি আত্মসাৎ করে বিক্রয়ের মাধ্যমে অর্থ উপার্জনসহ অবৈধ সম্পদের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। জানা যায় প্রায় ৩৫ বছর ধরে বিভিন্ন ডিসি অফিসে ভোলা, বরিশাল, ঝালকাঠি সহ বিভিন্ন জায়গায় কর্মরত ছিলেন বর্তমানে পটুয়াখালী ডিসি অফিসের এস/এ শাখায় কর্মরত আছেন। বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতি,ঘুষ বাণিজ্য ও সরকারি খাস জমি আত্মসাৎ এর মাধ্যমে বিগত আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে ২৫-৩০ কোটি টাকার মালিক হয়ে গেছে, এর মধ্যে তার বরিশাল জিয়া সড়কে পাঁচতলা বিশিষ্ট একটি আলিশান বাড়ি রয়েছে এছাড়াও বরিশালে তার বেশ কয়েকটি প্লট রয়েছে।এছাড়াও অনুসন্ধানের মাধ্যমে বেরিয়ে এসেছে ভোলা সহ বরিশাল শহরে তার স্ত্রী, শশুর, শাশুড়ি এবং আত্মীয়-স্বজনের নামে বেনাম অনেক অবৈধ সম্পদ রয়েছে, তার স্ত্রী ও শ্বশুর এর ব্যাংক হিসাব তলব করলে অনেক অর্থের সন্ধান পাওয়া যাবে তার সাথে তার বেশ কয়েকজন সহকর্মী জড়িত রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে ও তদন্ত চলছে এই বিষয়ে তার কাছে জানতে চাইলে তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারেনি বরং ম্যানেজ করার চেষ্টা করে পরবর্তীতে ফোন দিলে আর ফোন রিসিভ করেননি।এই বিষয়ে বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) বরিশাল আঞ্চলিক কার্যালয় এবং জেলা প্রশাসক,পটুয়াখালী বরাবর অভিযোগ দায়ের করার প্রস্তুতি চলছে ।প্রথম পর্বে আপাতত শহিদুল ইসলামের ফিরিস্তি দ্বিতীয় তুলে ধরা হলো দ্বিতীয় পর্বে সার্ভেয়ার মোশারফ সহো আরো অন্যান্য সকলের ফিরিস্তি এবং সকলের ছবি সহো দৃশ্যমান সম্পদ সম্পত্তির ফিরিস্তি তুলে ধরা হবে।এই ব্যাপারে বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার,দুর্নীতি দমন কমিশন ও পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগ ডায়েরের প্রস্তুতি চলছে।