শিরোনাম
নারায়ণগঞ্জের বন্দরে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের অষ্টমী স্নানোৎসব বন্ধ ঘোষণা করেছে স্থানীয় প্রশাসন।
করোনাভাইরাসের কারণে তীর্থস্থান লাঙ্গলবন্দে দুই দিনব্যাপী স্নানোৎসব বন্ধ ঘোষণা করা হয়। মঙ্গল ও বুধবার স্নানোৎসব অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল।
প্রতি বছর এ স্নানোৎসবে বাংলাদেশ ছাড়া পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত, শ্রীলংকা, নেপাল থেকে প্রায় ১০ লাখ দর্শনার্থী অংশ নেন। ব্যাপক জনসমাগম এড়াতে এবং সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে বন্ধ করা হয় স্নানোৎসব। এই দুইদিন লাঙ্গলবন্দে না গিয়ে গৃহে অবস্থান করে প্রার্থনা করার অনুরোধ জানানো হয়।
বন্দর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শুক্লা সরকার জানান, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী সভা, সমাবেশ, ওয়াজ মাহফিল, তীর্থযাত্রাসহ সবরকম জনসমাগমে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এ কারণে লাঙ্গলবন্দ স্নানোৎসব বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
তিনি জানান, স্নানোৎসব উপলক্ষে লাঙ্গলবন্দ হয়ে উঠে উৎসব মুখর। প্রায় ১০ লাখ লোকের সমাগম হয় এখানে। ভারত, নেপাল, ভুটান থেকে প্রচুর পূণ্যার্থী আসেন লাঙ্গলবন্দে। করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার আশংকায় এবং সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এবার স্নান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
এ সময় লাঙ্গলবন্দে গিয়ে গণজমায়েত না করতে অনুরোধ জানান তিনি।
লগ্ন অনুযায়ী লাঙ্গলবন্দের আদি ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে মঙ্গলবার বিকাল ৫টা থেকে শুরু হয়ে পরদিন বুধবার রাত ১০টা পর্যন্ত স্নানোৎসব উদযাপনের কথা ছিল। এর পরিবর্তে ওই দিন নিজ গৃহে অবস্থান করে ব্রহ্ম মুহূর্তে অর্থাৎ সূর্যোদয়ের আগে ভোর ৪টা ১৯ মিনিট থেকে ৫টা ১৭ মিনিটের মধ্যে শঙ্খ ও উলুধ্বনির মাধ্যমে করোনাভাইরাস থেকে মুক্তির জন্য প্রার্থনা করার কথা বলা হয়েছে।
এ দিকে বন্দরে করোনার কারণে কর্মহীন ২৫০ পরিবারে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেছে বন্দর উপজেলা প্রশাসন। সোমবার উপজেলার ৫ ইউনিয়নের হতদরিদ্র পরিবারের কাছে এ খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দেন বন্দর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শুক্লা সরকার।
তিনি জানান, বেসরকারি খাত থেকে পাওয়া ত্রাণসামগ্রী সোমবার ইউপি চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে