শিরোনাম
ভোলা প্রতিনিধি ::: ভোলার মনপুরা উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুল আলম শাহীনের বিরুদ্ধে মনপুরা সদর হাসপাতালের আউটসোর্সিং কর্মী নিয়োগে অনৈতিক সুবিধা নিয়ে আওয়ামী লীগের এক কর্মীকে চাকরি দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) বিষয়টি জানাজানি হলে বিএনপির সাধারণ কর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল করে শাহীনকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন। এই ঘটনার পর শাহীন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষমা চেয়ে স্ট্যাটাস দেন এবং পরবর্তীতে ওই আওয়ামী লীগ কর্মীর চাকরি বাতিল করা হয়।
জেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম নবী আলমগীর বলেছেন, এ বিষয়ে তদন্ত করে অভিযোগ প্রমাণিত হলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উপজেলা বিএনপির সভাপতি বাচ্চু চৌধুরীও বিষয়টি অবগত বলে স্বীকার করেছেন এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।
জানা গেছে, মনপুরা সদর হাসপাতালে ১০ জন আউটসোর্সিং কর্মী নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছিল। অথচ, বিধি অনুসারে ঠিকাদারের মাধ্যমে যোগ্য প্রার্থীদের নিয়োগ দেওয়ার কথা থাকলেও মাহবুবুল আলম শাহীন তার রাজনৈতিক প্রভাব কাজে লাগিয়ে ৫ জনের জন্য তদবির করেন। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের সক্রিয় কর্মী রুবেলও ছিলেন, যাকে মোটা অঙ্কের অর্থ সুবিধা নিয়ে চাকরি দেওয়া হয়।
এ ঘটনার পর ২৪ নভেম্বর সন্ধ্যায় মনপুরার হাজিরহাট বাজারে বিক্ষুব্ধ বিএনপি কর্মীরা মিছিল করে শাহীনকে আওয়ামী লীগের দালাল হিসেবে অভিহিত করেন এবং তাকে পদচ্যুতসহ বিএনপি থেকে বহিষ্কারের দাবি জানান।
বিএনপি কর্মী হাসান বলেন, শাহীন আওয়ামী লীগের দালালি করে নিজের অবস্থান শক্ত করেছেন এবং এখন আওয়ামী লীগ কর্মীদের চাকরি দিয়ে আরও অর্থ কামাচ্ছেন।” অন্যদিকে, বিএনপি কর্মী কামাল অভিযোগ করেন, শাহীন সাবেক এমপি নাজিম উদ্দিন আলমের প্রতিষ্ঠিত কলেজে চাকরি পেয়েও আওয়ামী লীগের প্রতি তার অঙ্গীকার ভঙ্গ করেছেন এবং নানা অপকর্মে লিপ্ত হয়েছেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত মাহবুবুল আলম শাহীন ফেসবুকে দেয়া স্ট্যাটাসে তার ভুল স্বীকার করে বলেন, মনপুরা হাসপাতালের ১টি পদে আমার সুপারিশের কারণে যে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে, তার জন্য আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত। ইতিমধ্যে ওই পদ সংশোধন করা হয়েছে।
উপজেলা বিএনপির সভাপতি বাচ্চু চৌধুরী বলেন, শাহীন একটি আওয়ামী লীগের কর্মীকে চাকরি দিয়েছেন, তবে চাকরি বাতিল করা হয়েছে। আমরা বিষয়টি দেখছি।” জেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম নবী আলমগীর বলেছেন, “মনপুরা একটি বিচ্ছিন্ন দ্বীপ, কিন্তু বিএনপির কোনো নেতা আওয়ামী লীগ কর্মীদের চাকরি দেওয়ার সুযোগ রাখে না। বিষয়টি খতিয়ে দেখে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।