শিরোনাম
ফয়সাল হাওলাদার //ঐতিহাসিক ৭ই নভেম্বর আজ। জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস। ১৯৭৫ সালের এদিনে আধিপত্যবাদী চক্রের সকল ষড়যন্ত্র রুখে দিয়ে জাতীয় স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র রক্ষার দৃঢ়প্রত্যয় নিয়ে সিপাহী-জনতা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে রাজপথে নেমে এসেছিল। দিবসটি উপলক্ষে বিএনপি দলীয় কার্যালয়ে সকালে প্রথম প্রহরে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন এবং বিভিন্ন কর্মসূচি পালনের মধ্যে দিয়ে কার্যক্রম শুরু করে।
এরই ধারাবাহিকতায় বিভিন্ন ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড থেকে মিছিল এসে উত্তর বাজার ঈদগাহ মাঠে জড়ো হয়। পরবর্তীতে সকল নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়, উক্ত আলোচনা সভায় সকল নেতৃবৃন্দরা পৃথক পৃথক বক্তব্য দেন এবং পরবর্তীতে পাতারহাট বন্দরে র্যালি করেন।
উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপি’র আহবায়ক গিয়াস উদ্দিন দিপেন, উপজেলা বিএনপি’র সদস্য সচিব শিহাব আহমেদ সেলিম তালুকদার, সিনিয়র যুগ্ম-আহবায়ক আসাদুজ্জামান মুক্তা, পৌর বিএনপি’র আহবায়ক সৈয়দ রিয়াজ শাহীন লিটন, পৌর বিএনপি,র সদস্য সচিব রিয়াজ উদ্দিন দিনু, উপজেলা যুবদলের আহবায়ক সৈয়দ নাইমুল ইসলাম তুহিন, সদস্য সচিব মাজহারুল ইসলাম পারভেজ, পৌর যুবদলের আহবায়ক মামুন মিয়াজি, ও মিরাজ শিকদার আরজু, বরিশাল উত্তর জেলা মহিলা দলের আহবায়ক চৌধুরী শরিফা নাসরিন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক ফখরুল ইসলাম সোহেল, সদস্য সচিব মাসুদ রানা, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক আমিনুল ইসলাম শিপন, কৃষক দলের আহবায়ক বাবুল পালোয়ান, উপজেলা শ্রমিক দলের সভাপতি নান্নু বকশি, শ্রমিক দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি হাশেম রাঢ়ী, পৌর শ্রমিক দলের সদস্য সচিব মোবারক, মৎস্যজীবি দলের আহবায়ক সৈয়দ শামীম, উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক শাহাদাত হোসেন সোহাগ, সদস্য সচিব জুবায়ের মাহামুদ, পৌর ছাত্রদলের আহবায়ক তরিকুল ইসলাম তরিক, কলেজ ছাত্রদলের আহবায়ক এমাজউদ্দীন রাজু সহ উপজেলার সকল ইউনিয়ন ও পৌর নেতৃবৃন্দ।
উক্ত অনুষ্ঠানে উপজেলা যুবদলের আহবায়ক সৈয়দ নাইমুল ইসলাম তুহিন বলেন, ৫ই আগস্ট ছাত্র-জনতা ও জাতীয়তাবাদী দলের বিভিন্ন ইউনিটির নেতাকর্মীদের মহিমান্বিত আত্মদানের মধ্যদিয়ে ফ্যাসিস্টরা দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়। মানুষের মধ্যে গণতন্ত্রের মুক্তির পথ প্রসারিত হয়েছে। এখন চূড়ান্ত গণতন্ত্রের চর্চার জন্য অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনসহ গণতন্ত্রের অপরিহার্য শর্ত মানুষের মৌলিক মানবাধিকার নিশ্চিত করতে হবে। আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের নতজানু নীতির কারণেই আমাদের আবহমানকালের কৃষ্টি, ঐতিহ্য, ভাষা ও সংস্কৃতির ওপর চলেছিল বাধাহীন আগ্রাসন। তাই আমি মনে করি ৭ই নভেম্বরের চেতনায় সকল জাতীয়তাবাদী শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে গণতন্ত্রের পথচলাকে অবারিত এবং জাতীয় স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা এই মুহূর্তে অত্যন্ত জরুরি।
পৌর যুব দলের আহ্বায়ক রিয়াজ শাহীন লিটন বলেন,বিগত ১৬ বছর দেশটাকে চুষে খেয়েছে হাসিনা সরকার, উন্নয়নের নামে দেশটাকে রসাতলে ডুবিয়েছেন, দেশকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিয়ে তারা এখন দেশত্যাগ করেছেন। তারা দেশের শত্রু, জনগণের শত্রু। তাদের কে সর্বদা প্রতিহত করতে হবে।
উপস্থিত নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে উপজেলা বিএনপি’র আহবায়ক গিয়াস উদ্দিন দিপেন বলেন, ৭ই নভেম্বর জাতীয় জীবনের এক ঐতিহাসিক অবিস্মরণীয় দিন। ১৯৭৫ সালের এই দিনে দেশপ্রেমে বলীয়ান হয়ে সিপাহী-জনতা রাজপথে নেমে এসেছিল জাতীয় স্বাধীনতা সুরক্ষা ও হারানো গণতন্ত্র পুনরুজ্জীবনের অভূতপূর্ব অঙ্গীকার নিয়ে। তাই ৭ই নভেম্বরের ঐতিহাসিক বিপ্লব অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ন। স্বাধীনতাত্তোর রাষ্ট্রীয় অনাচার, রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলা, তৎকালীন ক্ষমতাসীন মহল নিজ স্বার্থে জাতীয় স্বাধীনতাকে বিপন্ন ও সার্বভৌমত্বকে দুর্বল করে আধিপত্যবাদের থাবার মধ্যে দেশকে ঠেলে দেয়। শুধুমাত্র নিজেদের ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করার জন্যই গণতন্ত্রবিনাশী কর্মকাণ্ড শুরু করে। সেজন্য মানুষের বাক-ব্যক্তি ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে গলাটিপে হত্যার মাধ্যমে একদলীয় বাকশাল গঠন করে গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়। শুরু হয় নির্মম একদলীয় দুঃশাসন। দেশে নেমে আসে অশান্তি ও হতাশার কালো ছায়া। বাকশালী সরকার চরম অগণতান্ত্রিক ও ফ্যাসিবাদী পন্থায় মানুষের ন্যায়সঙ্গত অধিকারগুলোকে হরণ করে।