শিরোনাম
রিপোর্টঃ আাসাদুজ্জামান।। খৃস্টীয় প্রায় ১৪ শত বছর আগে ইহুদিদের ভয়ে মুসমিলম সম্প্রদায়ের লোকেরা গোপনে নামাজ পরতেন। ইসলামী শাসন কায়েমের আগে মদিনার মুসলিমদের ঘরে ঈদ হতো গোপনে. ছিলনা প্রকাশ্যে উৎসবের মোলাকাত। ইসলাম জয়ের পরে সারা বিশ্বে ঈদের সময় মুসলিমদের ঘরে ঘরে উৎসব আর আনন্দের বন্যায় ভ্রাতিত্ব বন্ধনে ভাসতো গোটা বিশ্ব। ইহুদীদের কষাঘাতে হিরোশিমা নাগাশিকায় হামলা বা দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধেও ঈদ আমাদের আনন্দ ম্লান করতে পারেনি। কিন্তু এবার ইসলাম ধর্মের সবচেয়ে বড় উৎসব ঈদ উল ফিতর হবে উৎসব বিহীন। মহামারী করোনা ধৈর্যের সাথে বিশ্ববাসী মোকাবেলা করলেও মসজিদে না যেতে পারা ও জামাতে সবাই মিলে নামাজ পরতে না পারা এবং পবিত্র রমজান মাসে ৩০ টি রোজা রেখে ঈদ আনন্দ উপভোগ থেকে বঞ্চিত হওয়ার সংকায় বেদনাবিদুর মনে আজ গোটা বিশ্বের মুসলিমরা। এই রকম পরিস্থিতি হবে তা কখনো কল্পোনাও করতে পারিনি আমরা। তবে এখন পর্যন্ত যে অবস্থা চলছে তার উন্নতি না হলে এবারের ঈদ হবে হাজার বছেরর বেদনাবিদুর ঈদ। দেখা হবে হবেনা ঈদের ময়দানে। বাবা তার শিশু সন্তানকে নতুন জামা পরিয়ে মাথায় টুপি দিয়ে হাটি হাটি পা করে যেতে পারবেনা ঈদের জামাতে নামাজ পরতে। এ যেন এক অসহনীয় যন্ত্রনার ঈদ। ঈদের দিন থেকে শুরু করে আত্বীয় স্বজন বন্ধু মহল ও প্রতিবেশীর বাড়ি ঘুরে ঘুরে খাবার সুযোগও থাকছে না করোই। সব কিছু মেলান করেদিতে চলেছে মহামারী করোনা। শুধু তাই নয় অদৃশ্য ভাইরাসের কারনে মরন আতংকে ভুগছে মৃত্যুপুরীর দিকে হাটছে গোটা বিশ্বের মানুষ। মহান সৃস্টিকর্তা আল্লাহর রহমত নাজিল না হলে এই মরন ব্যাধি থেকে কবে বিশ্ববাসী মুক্তি পাবে তার হিসাব মিলাতে পারছেনা কেউ। পবিত্র রমজান মাসের ফজিলতের উছিলায় মহামারী থেকে মুক্তি পেয়ে. সকলের এই ঈদ আনন্দের মহামিলন আল্লাহ কবুল করবেন এই বাসনা বিশ্ব মুসলিম উম্মার। এমনটাই যেন হয়।