শিরোনাম
উজিরপুর উপজেলার হারতা ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মৎস্যজীবীদের চাল বিতরণে অনিয়ম।।
নিজস্ব প্রতিবেদক ।। বরিশালের উজিরপুরে হারতা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মৎস্যজীবীদের সহায়তা কার্ডের চাল আত্মসাতের অভিযোগ । প্রতিকার চেয়ে ৫ এবং ৬ নং ওয়ার্ডের ভুক্তভোগী মৎস্যজীবীরা উজিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন । অভিযোগ সুত্রে জানাগেছে উপজেলার হারতা ইউনিয়নে মৎস্যজীবীদের সহায়তা কার্ডের মাধ্যমে মাসিক ৪০ কেজি চাল বিতরণ করার কথা থাকলেও হারতা ইউপি চেয়ারম্যান হরেন রায় কতিপয় ইউপি সদস্যর সহায়তায় ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে প্রতি মৎস্যজীবীকে ৪০ কেজি চালের স্থলে ৩০ কেজি চাল নিতে বাধ্য করে ।এ সময় কয়েকজন মৎস্যচাষী প্রতিবাদ করলে তাদেরকে গালমন্দ করে ও মৎস্য কার্ড বাতিলের হুমকি দেয় । মৎস্যজীবী সুমন রায় বলেন হারতা ইউপি চেয়ারম্যান হরেন রায় ও তার অনুগত মেম্বারের মাধ্যমে বিভিন্ন সময়ে সহায়তার চাল কম দেয় প্রতিবাদ করলে বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করে ফলে তার বিরুদ্ধে মুখ খুলতে কেউ সাহস পায় না , ৬ নং ওয়ার্ডের কার্ডধারী মৎস্যজীবী মজিদ বেপারি (৬০) বলেন ১২ জন পরিবারের সদস্য নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছি সরকার আমাদের কার্ড দিলেও ২০ কেজির অধিক চাল পাই নায় ।নাম না প্রকাশ করার শর্তে একাধিক মৎস্যজীবী বলেন চেয়ারম্যান তার ইচ্ছা মতো তার অনুসারীদের চাল দেয় । এ বিষয়ে ৫ নং ওয়ার্ডের ইউপি হিরালালের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তাকে পাওয়া যায়নি। ৬ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ফারুক হোসেন বলেন বিষয়টি চাল কম দেয়া বা আত্নসাতের অভিযোগ ভিত্তিহীন বানোয়াট ।গত দুই মাসের চাল একসাথে দেয়া হয়েছে প্রতি মৎস্যজীবীকে ৪০ কেজি করে মোট ৮০ কেজি চাল দেয়ার কথা থাকলেও উপজেলা গোডাউন থেকে পরিবহনে আনার খরচ বাবদ ৫ কেজি চাল কম দেয়া হয়েছে বলে স্বীকার করেন ।এ বিষয়ে জানতে হারতা ইউপি চেয়ারম্যান হরেন রায়ের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তাকে পাওয়া যায়নি এমনকি তার ব্যবহৃত মুঠোফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি । উজিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রণতি বিশ্বাস অভিযোগ প্রাপ্তি স্বীকার করে বলেন তদন্ত করার জন্য উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তাকে দ্বায়িত্ব দেয়া হয়েছে । তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার আশ্বাস দেন ।