শিরোনাম
নিজস্ব প্রতিবেদক ::: বরিশাল সদর উপজেলার কীর্তখোলা (বেলতলা) খেয়াঘাটের ইজারা বাতিলের দাবিতে স্বারকলিপি প্রদান করেছেন চরমোনাই ইউনিয়নের সর্বস্তরের জনগণ।
বুধবার (১২ মার্চ) বেলা ১২ টার দিকে বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার, বরিশাল জেলা প্রশাসক ও বরিশাল জেলা পরিষদের প্রশাসক বরাবর স্বারকলিপি প্রদান করেন।
এতে বলা হয়- জীবন ও জীবিকার প্রয়োজনে বরিশাল সদর উপজেলোর কীর্তখোলা (বেলতলা) খেয়াঘাট থেকে হাজার হাজার লোক প্রতিদিন পারাপার হয়। খেয়াঘাট থেকে যাতায়াতরত মানুষের কাছ থেকে প্রতিনিয়তই সরকার নির্ধারিত ভাড়ার থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করেন ইজারাদার। বাড়তি এই ভাড়া নেওয়া নিয়ে প্রতিবাদ কিংবা অভিযোগ করলেও কোনো প্রতিকার মেলেনা। এর ফলে বরিশালের সাথে চরমোনাই ইউনিয়নের সংযোগে থাকা কীর্তখোলা (বেলতলা) খেয়াঘাট এখন জনভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইচ্ছে মতো ভাড়া আদায়ের ঘটনা জেলা পরিষদের ইজারা দেওয়া কীর্তনখোলা (বেলতলা) খেয়াঘাটে এমন নৈরাজ্য চলছে। বরিশাল জেলা পরিষদের কোন নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে পেশী শক্তির প্রভাব দেখিয়ে এসব বিতর্কিত কর্মকান্ড করছে ইজারাদার। সরকারী নিয়ম অনুযায়ী সেখানে জেলা পরিষদের নির্ধারিত খেয়া পারাপাড়ের ভাড়ার তালিকা টানানোর কথা থাকলেও তা কখনোই চোখে পড়েনি যাত্রীদের। তবে পারাপারে নির্ধারিত চার্ট ইজারাদারের নিজ দায়িত্বে লাগানোর কথা রয়েছে।
চরমোনাইবাসীর দাবি- এই দুর্মুল্যের বাজারে জনগনের জীবন ও জীবিকার কথা চিন্তা করে কীর্তখোলা (বেলতলা) খেয়াঘাটের ইজারা বাতিল করার দাবি জানান। ঘাট এরিয়ায় পর্যাপ্ত বিশুদ্ধ খাবার পানি, যাত্রী ছাউনি, নারী বান্ধব জেটি ও স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেটের ব্যবস্থা করতে হবে। আগামীতে ইজারা কমিটির মাধ্যমে নির্দিষ্ট ট্রলার নির্ধারন করতে হবে। নৌপথে দুর্ঘটনা এড়াতে দিনের বেলা বাল্কহেড চলাচল বন্ধ করতে হবে। যত্রতত্র চাঁদাবাজি হচ্ছে সেই চাঁদাবাজি বন্ধ করে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে হবে।
এ ব্যাপারে বরিশাল জেলা পরিষদের প্রশাসক ও অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মো. সোহরাব হোসেন বলেন, জেলা পরিষদের ঘাটটি আগে থেকেই ইজারা হয়ে আসছে। বেলতলা খেয়াঘাটের এবারও ইজারা যথারীতি চলবে। তবে ইজারাদার কর্তৃক অনিয়ম হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’