শিরোনাম
বাউফল প্রতিনিধি পটুয়াখালীর বাউফল পৌর শহরে রাত ১২ টার পরে রিকশা চালাতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন টহল পুলিশের এএসআই মশিউর রহমান। বিষয়টি নিয়ে রিকশা চালকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। রিকশা চালকদের বসতে দেয়ায় পাহাদারকেও গালমন্দ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
রিকশা চালকরা জানান, গত দুইদিন ধরে বাউফল থানার এএসআই মশিউরের নিষেধাজ্ঞায় তারা রাতে রিকশা চালাতে পারেন না। এতে করে ঢাকা থেকে বাউফলে আসা বাস যাত্রীরা বিপাকে পড়ছেন। অন্যদিকে রিকশা চালাতে নিষেধাজ্ঞা থাকায় দ্রব্যমূল্যের বাজারে অভাবে পড়তে হচ্ছে তাদের। রিকশা চালকরা অভিযোগ করে বলেন, গত রবিবার ও সোমবার রাতে পৌর শহরের গোলাবাড়ি এলাকায় হঠাৎ এসেই তাদের অকথ্য ভাষায় গালমন্দ শুরু করেন পুলিশের এএসআই মশিউর রহমান। একপর্যায়ে তাদের লাঠি নিয়ে ধাওয়া দেওয়া হয় এবং তাদের বসতে যায়গা দেয়ায় পাহাদারকেও গালমন্দ করে এই পুলিশ সদস্য৷
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন রিকশা চালক বলেন, ‘পুলিশ আগের মতই আচরণ করে। কতা হোনে না আইয়াই গাইল শুরু করে। এই কনকনে শীতে প্যাটের খুদা না থাকলে কেউ রাস্তায় নামে না। আমাগো কষ্ট কেউ বোঝে না।’
স্থানীয় পাহাদার বলেন, রাতে ঢাকা থেকে যাত্রী নিয়ে একাধিক যাত্রী আসে। রিকশা না পেলে তারা গন্তব্যে যেতে পারে না। সকাল পর্যন্ত রাস্তায় বসে থাকে। রিকশা চালকদের বসতে দেওয়ার অপরাধে তিনি (পুলিশ সদস্য) আমাকেও গালমন্দ করেছেন সেদিন।
ঢাকা থেকে বাসে বাউফলে আসা যাত্রী ইফতেকার ডেইলি বরিশাল সংবাদ কে বলেন, আমি সূর্যমনি ইউনিয়নে এতোদূরে হেটে যাওয়াতো সম্ভব না। এখন সকাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। রিকশা গাড়ি থাকলে খুব সুবিধা হতো।
এ বিষয়ে বাউফল থানা পুলিশের এএসআই মশিউর রহমান বলেন, আমি তাদের গালাগাল করিনি, এই অভিযোগ মিথ্যা। তবে রাতে রিকশা চালাতে নিষেধ করেছি কারণ রিকশা চালকরা নানা অপকর্মে জড়িত থাকে। তারাও চুরি ছিনতাইর ঘটনায় জড়িত। তাছাড়া রাত ১২ টার পরে ভালো মানুষ রাস্তায় থাকে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি৷
বাউফল থানার ওসি কামাল হোসেন বলেন, রিকশা চালাতে থানা পুলিশের পক্ষ থেকে কোনো নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়নি। যেসব রিকশা চালক অপকর্মে জড়িত তাদের চিনহিত করতে কাজ করছে পুলিশ। অপরাধে জড়িত রিকশা চালকদের আইনের আওতায় নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
সচেতন মহলের ব্যক্তিরা বলেন, পুলিশের আচরণে পরিবর্তন আনতে হবে। ব্যক্তি অপরাধ করলে তার দায় পুরো রিকশা চালক গোষ্ঠীর না। অপরাধী খুঁজে বের করাই পুলিশের কাজ। রিকশা বন্ধ করে দেয়া কোনো সমাধান না। আগের মত আচরণ করলে পুলিশের ওপর জনগণের আস্থা কখনো ফিরবে না। ###