শিরোনাম
অনলাইন ডেস্ক : করোনা আক্রান্ত রোগী বাড়ছে, এর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে জনজীবনে। করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) আক্রান্ত রোগী শনাক্তের পরই দুশ্চিন্তা ছড়িয়ে পড়ে সর্বত্র। করোনাকে বৈশ্বিক মহামারি ঘোষণার পর ভাইরাসটির ঝুঁকি এড়াতে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এরপরই দুই কোটি মানুষ বসবাসের জনবহুল এই নগরী ক্রমশ ফাঁকা হতে শুরু করে।
বুধবার (১৮ মার্চ) দুপুরের পর করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু ও আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ১৪ হওয়ার খবর গণমাধ্যমে আসে। এ তথ্য নিশ্চিত করে সরকারী সংস্থা রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা বিভাগ (আইইডিসিআর)। সোশাল মিডিয়ার কল্যাণে এ খবর ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে খুব দ্রুত পাল্টে যায় ব্যস্ত রাজধানীর চিরচেনা পরিবেশ। যানজটে থমকে থাকা সড়কগুলো ফাঁকা হতে থাকে, সবধরনের যানবাহনও কমে যায়। নগরবাসীর মধ্যে করোনা আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ায় লোকজন ঝুঁকিমুক্ত থাকতে ঘরকেই বেছে নেন।
কর্ম দিবসের ব্যস্ত ঢাকার চিত্র সন্ধ্যার আগেই পুরোপুরি পাল্টে যায়। থমথমে পরিবেশ তৈরি হয় নগরীর সিংহভাগ এলাকায়। সরকারি বা বেসরকারি সব অফিসই নির্ধারিত সময়ের আগেই খালি হয়ে যায়। উদ্বিগ্ন মানুষ চলে যান যে যার বাসায়।
এর আগে করোনা হুমকিতে বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকী উদযাপন সংক্ষিপ্ত করা হয়। ওইদিন থেকেই স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়। তবে তার আগেই শিক্ষার্থীদের একটা বড় অংশ রাজধানী ছাড়ে। অভিভাবকদের অনেকেই তাদের সঙ্গী হয়। এতে নগরীর জনসংখ্যাও কমতে থাকে। করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার উদ্বেগের মধ্যে প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের না হওয়া এবং জনসমাগম স্থানগুলো এড়িয়ে চলার সরকারের নির্দেশনাও ঢাকার রাস্তাঘাট ফাঁকা হয়ে যাওয়ার আরেকটি কারণ।
পেশাগত কাজের চাপ না থাকলে রাজধানীর বাসিন্দারা শপিংমল, মার্কেট, ফুডকোর্ট, রেস্টুরেন্ট বা বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে ভিড় জমায়। কিন্তু এবারের পরিস্থিতি সম্পূর্ণ ভিন্ন। প্রাণের ঝুঁকি যেখানে, মন টানে না বিনোদনে। গত কয়েকদিন ধরে তাই খা খা করছে কেনাকাটার ভিড় লেগে থাকা জায়গাগুলো। ক্রেতা না পাওয়ায় শপিং মলের অনেক দোকানই বন্ধ রাখা হচ্ছে। তবে ভিড় বেড়েছে কাঁচা বাজারে আর পাড়ার মোড়ের মুদি দোকানে। বিপর্যয় আসন্ন ধরে নিয়ে এক শ্রেণির মানুষ নিত্যপণ্য কিনতে হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন। কোনো বাদ-বিচার না করেই প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত জিনিসপত্র কিনে মজুত করছেন। নিত্যপণ্যের বিকিকিনি বেড়ে গেছে তিন থেকে চার গুণ। সুযোগ নিতে কিছু কিছু পণ্যের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে ক্রেতা ও বিক্রেতাকে নির্ধারিত দামে পন্য বিকিকিনি করতে বলা হচ্ছে বার বার। আরো বলা হচ্ছে, দেশে প্রচুর পরিমাণে পণ্য মজুদ রয়েছে। এমনকি কিছুটা আমদানি নির্ভর যেসব পণ্য সেগুলোও প্রচুর পরিমাণে আমদানি করা হয়েছে, সেগুলোও মজুদ রয়েছে। তাই কোন পণ্যের ঘাটতি হবে না। বাড়তি পণ্য কিনে মজুদ রাখার দরকার নেই। কিন্তু কে কান দেয় ওসব কথায়! বেশি দামে হলেও প্রয়োজনীয় পণ্য কিনে ঘরে রাখতে ব্যস্ত অনেকেই। তাদের সবার মুখে প্রায় একই কথা, বলা তো যায় না পরিস্থিতি কোন দিকে মোড় নেয়!
নামাজের সময়সূচি | |
---|---|
October 11, 2024 | |
Fajr | 4:38 am |
Sunrise | 5:50 am |
Zuhr | 11:45 am |
Asr | 3:57 pm |
Maghrib | 5:39 pm |
Isha | 6:51 pm |
Dhaka, Bangladesh |