শিরোনাম
চিত্রনায়ক সালমান শাহর রহস্যজনক মৃত্যুর পর দায়ের করা মামলায় এখন পর্যন্ত কোনো তদন্তকারী সংস্থার প্রতিবেদন গ্রহণ করেনি তার পরিবার। প্রথমে থানা পুলিশ পরে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) মামলাটি তদন্ত করে।
সেটি প্রত্যাখ্যাত হওয়ার পর সালমান শাহ অপমৃত্যু নাকি হত্যার শিকার তা নিশ্চিত হতে আদালত বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি করে। সেটাও প্রত্যাখ্যাত হয়। এরপর র্যাব এবং সর্বশেষ ২০১৬ সালের ২১ আগস্ট তদন্ত সংস্থা হিসেবে দায়িত্ব পায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
সর্বশেষ গত ১৮ ফেব্রুয়ারি আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করার কথা থাকলেও সালমান শাহ হত্যা মামলার পুনঃতদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে পারেনি পিবিআই। এ কারণে ঢাকা মহানগর হাকিম বাকী বিল্লাহ শুনানি শেষে পুনঃতদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার তারিখ নির্ধারণ করেছেন আগামী ১৮ মার্চ।
তবে ১৮ মার্চের আগেই পুনঃতদন্ত প্রতিবেদন চূড়ান্ত করতে চাইছে তদন্ত সংস্থা পিবিআই। পিবিআই সদরদফতর সূত্রে জানা গেছে, চিত্রনায়ক সালমান শাহ হত্যার শিকার নাকি তার অপমৃত্যু হয়েছে, সে ব্যাপারে তদন্ত একদম শেষ পর্যায়ে। পিবিআই তাদের তদন্তে চাঞ্চল্যকর অনেক তথ্যও পেয়েছে।
এ ব্যাপারে সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় ধানমন্ডিতে সদর দফতরে সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে পিবিআই। সেখানে চাঞ্চল্যকর এ মামলার তদন্ত সম্পর্কে বিস্তারিত জানানো হবে।
এ ব্যাপারে পিবিআইয়ের তদন্ত সংশ্লিষ্ট এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, এতদিন অনেক কথা হয়েছে, মামলার তদন্ত অনেকে করেছেন। অনেকবারই নারাজি দেয়া হয়েছে আদালতে দাখিল করা প্রতিবেদনে। তবে পিবিআই দায়িত্ব পাওয়ার পর এ ব্যাপারে অনেক কাজ হয়েছে। যার যার সঙ্গে কথা বলা বা জিজ্ঞাসাবাদ করা দরকার, করা হয়েছে। এখন উপসংহারের পালা। সালমাহ শাহ অপমৃত্যু নাকি হত্যার শিকার সেটাই এখন জানানোর পালা। আজ সেটাই জানাবেন পিবিআই প্রধান ডিআইজি বনজ কুমার মজুমদার।
১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর মারা যান চিত্রনায়ক চৌধুরী মোহাম্মদ শাহরিয়ার (ইমন) ওরফে সালমান শাহ। সে সময় এ বিষয়ে অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করেছিলেন তার বাবা প্রয়াত কমরউদ্দিন আহমদ চৌধুরী। পরে ১৯৯৭ সালের ২৪ জুলাই ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে অভিযোগ করে মামলাটিকে হত্যা মামলায় রূপান্তরিত করার আবেদন জানান তিনি। অপমৃত্যু মামলার সঙ্গে হত্যাকাণ্ডের অভিযোগের বিষয়টি একসঙ্গে তদন্ত করতে সিআইডিকে নির্দেশ দেন আদালত।