শিরোনাম
চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের বারবার হুশিয়ারি সত্ত্বেও শুরুতে করোনাভাইরাসের বিষয়টি পাত্তাই দেননি মার্কিনপ্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তার সরকার। বরং শুরু থেকেই একে খাটো করে দেখেছেন।
পরিস্থিতি মোকাবেলায়ও নেননি কোনো প্রস্তুতি। গড়িমসি করে শুধু সময়ক্ষেপণ করেছেন। ফলে করোনায় এখন সবচেয়ে বেশি বিপর্যস্ত যুক্তরাষ্ট্র। এ নিয়ে তুমুল সমালোচনার মুখে পড়েছেন ট্রাম্প।
সাম্প্রতিক এক সমীক্ষায় ধরা পড়েছে, করোনাকালে দ্রুত জনপ্রিয়তা কমছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের। যার প্রভাব পড়তে পারে আসন্ন নির্বাচনেও।
রয়টার্স ও ইপসসের যৌথ উদ্যোগে যুক্তরাষ্ট্রে পরিচালিত একটি সমীক্ষায় এ তথ্য উঠে এসেছে।
যেখানে সাধারণ মার্কিন নাগরিকদের প্রশ্ন করা হয়, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে কতটা বিশ্বাসযোগ্য বলে মনে করছেন তারা?
রিপোর্ট বলছে, ৫৬ শতাংশ নাগরিক ট্রাম্পকে এখন আর পছন্দ করছেন না। অথচ ঠিক এক মাস আগে একই ধরনের একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছিল, আগের চেয়ে কমলেও ট্রাম্পের জনপ্রিয়তা ৫০ শতাংশের নিচে নেমে যায়নি।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশের করোনা পরিস্থিতি এবং তা নিয়ে লাগাতার ট্রাম্পের বিবিধ মন্তব্য ভালো চোখে দেখছেন না আমেরিকানরা। ফলে আসন্ন নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেন খানিকটা হলেও সুবিধাজনক জায়গায় রয়েছেন।
সমীক্ষা অনুযায়ী তিনি আপাতত ট্রাম্পের চেয়ে আট পয়েন্ট এগিয়ে।
এএফপির রিপোর্ট মতে, যুক্তরাষ্ট্রে করোনার প্রথম রোগী ধরা পড়ে জানুয়ারি মাসের শেষের দিকে। কয়েক সপ্তাহের মধ্যে এর বিস্ফোরণ ঘটেছে। ছড়াচ্ছে বুলেটের গতিতে। ৬০ দিনের ব্যবধানে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যায় বিশ্বের সব দেশকে ছাড়িয়ে গেছে দেশটি।
বিশ্লেষকরা বলছেন, রাষ্ট্রের শীর্ষ নেতৃত্বের অদূরদর্শিতা ও সরকার-প্রশাসনের অবহেলাই কাল হলো মার্কিন মুলুকের জন্য। থোড়াই কেয়ার করায় ভাইরাসটির থাবায় এখন জেরবার অবস্থা। দুই মাসের মধ্যে করোনা সংক্রমণে বিশ্বের শীর্ষে পৌঁছে গেছে অর্থনৈতিক ও সামরিক শক্তিধর দেশটি।
প্রথম দিকে করোনাকে আমলে নেননি ট্রাম্প। বিপরীতে এর ভয়াবহতা নিয়ে বিশেষজ্ঞদের হুশিয়ারিকে খাটো করে দেখানোর চেষ্টা করেছেন। শীর্ষ নেতৃত্বে এই উদাসীনতায় গা ছাড়া ভাব দেখা যায় সরকার ও প্রশাসনের মধ্যেও।
সূত্র: ডয়চে ভেলে