শিরোনাম
বিশেষ প্রতিবেদক :: বরিশাল নগরীর কাউনিয়া শহীদ আরজু মনি সরকারি স্কুলের সামনে হাত বাড়ালেই মিলছে গাঁজা ও ইয়াবা। মাদক ব্যবসায়ী দম্পতি হানিফ ও মুন্নি সেখানে গড়ে তুলেছেন মাদকের এক স্বর্গরাজ্য। এতে করে ধংসের পথে ধাবিত হচ্ছে যুব সমাজ।
নগরীর ১ নং ওয়ার্ডস্থ শহীদ আরজু মনি সরকারি স্কুলের সামনে হানিফ ও মুন্নি বরিশাল সিটি করপোরেশনের এক খণ্ড জমি দখল করে সেখানে একটি ভাঙ্গারী দোকান দিয়ে নিরাপদের চালিয়ে যাচ্ছেন মাদক ব্যবসা। তবে বরিশাল সিটি করপোরেশনের জমি দখল করে ভাঙ্গারী দোকান দিলেও এ নিয়ে মাথা ব্যাথ্যা নেই সিটি করপোরেশনের কর্তাবাবুদের। অবৈধ এ স্থাপনাটি অপসারণে বার বার তাদের অবহিত করলেও নিরব ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন তারা। এদিকে গুঞ্জন উঠেছে- হানিফ ও মুন্নি সিটি করপোরেশনের কাছ থেকে ওই জমি ভাড়া নিয়েছেন। আর প্রতিমাসে ভাড়া বাবদ ১ হাজার টাকা নেন সিটি করপোরেশনের এক কর্মকর্তা।
এ নিয়ে কথা হয় সিটি করপোরেশনের প্রশাসনিক কর্মকর্তা আলমগীরের সাথে। তিনি বলেন- শহীদ আরজু মনি সরকারি স্কুলের সামনে কাউকে জমি লিজ বা ভাড়া দেয়া হয়নি। কেউ সেখান থেকে ভাড়াও নেয় না। আপনি বিষয়টি নিয়ে আমাদের ম্যাজিস্ট্রেটের সাথে কথা বলেন।
বরিশাল সিটি করপোরেশনের ম্যাজিস্ট্রেট ইমতিয়াজ মাহমুদ জুয়েলের মুঠোফোনে একাধিক বার কল দিলেও তার কাছ থেকে কোন সাড়া পাওয়া যায়নি।
স্থানীয়দের অভিযোগ, মাদক ব্যবসায়ী হানিফ ও মুন্নি ব্যাপারে তথ্য দিলেও কোন ব্যবস্থা নেয়না থানা পুলিশ। এ সময় মাদক ব্যবসায়ীদের সাথে পুলিশের আঁতাতের অভিযোগও করেন তারা। কাউনিয়া থানা এলাকায় ইয়াবা ও গাঁজার কারবার এতটাই ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। সকাল সন্ধ্যা মাদকসেবীদের যন্ত্রণায় এলাকায় নারীরা বের হতে পারছেনা। এবং নানা সময় অপ্রিতিকর পরিস্থিতিতে পড়ছেন তারা।
সূত্র জানায়, প্রভাবশালী কজন মাদকসম্রাট পর্দার আড়ালে থেকে অসাধু কিছু পুলিশসহ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের লোকজনের সহযোগিতায় ব্যবসা অব্যাহত রেখেছে। এদের মধ্যে মুন্নি ও হানিফ প্রতিনিয়ত এলাকায় মাদক বিক্রি করছে। ওই এলাকায় প্রতিদিন সন্ধ্যার পরে মাদক কেনাবেচার হাট বসছে।
পুলিশ প্রশাসন মাদক নির্মূলের প্রতিশ্রুতি দিলেও কাউনিয়া থানার পুলিশের কিছু অসাধু কর্মকর্তা বখরা আদায়ে ব্যস্ত বলে অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী।
মাঝেমধ্যে বরিশাল র্যাব-৮ ও ডিবি পুলিশ অভিযান চালিয়ে মাদক ব্যবসায়ী মুন্নি ও হানিফকে আটক করলেও পুলিশের কৌশলগত চার্জশিটের বদৌলতে এসব মাদক ব্যবসায়ী অল্প দিনেই মুক্তি পেয়ে যাচ্ছে। মুক্তি পেয়েই পুনরায় শুরু করছে মাদক বিক্রি।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানান কাউনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান। তিনি বলেন, মুন্নি ও স্বামী হানিফকে একাধিক বার আটক করে মাদক মামলায় আদালতে পাঠানো হয়েছে। তবু মুন্নি গোপনে মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।
মাদক ব্যবসায়ীদের কোন প্রকার ছাড় দেয়া হবে না বলেও জানান ওসি।”