উত্তরণ এর আয়োজনে রূপসী বাংলার কবি জীবনানন্দ দাশের ১২১তম জন্মদিন উপলক্ষে মেলা অনুষ্ঠিত।
ডেইলি বরিশাল সংবাদ
সংবাদ সংগ্রহে সারাক্ষন
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২০ ৫:১৫ অপরাহ্ণ
বিশেষ প্রতিনিধীঃ তোমরা স্বপ্নের ঘরে চলে এসো এখানে মুছিয়া যাবে হৃদয়ের ব্যথা এমন অনেক কাব্যিক লাইনের রচয়িতা, রূপসী বাংলার কবি, নির্জনার কবি, প্রকৃতির কবি জীবনানন্দ দাশের ১২১তম জন্মদিন উপলক্ষে প্রতিবছরের ন্যায় এবারো সাংস্কৃতিক সংগঠন উত্তরণ এর আয়োজনে তিনদিনব্যাপী জীবনানন্দ মেলা ২০২০ অনুষ্ঠিত হয়। আজ ১৭ ফেব্রুয়ারি সোমবার রাত ৭ টার দিকে কবির কর্মস্থল ব্রজমোহন কলেজ মাঠে উত্তরণের আয়োজনে তিন দিনব্যাপী জীবনানন্দ মেলার আজ দ্বিতীয় দিন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বরিশালের জেলা প্রশাসক এস, এম, অজিয়র রহমান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সহ-সভাপতি উত্তরণ সাংস্কৃতিক সংগঠন কে আর বিপ্লবী। বিশেষ অতিথি ছিলেন অধ্যক্ষ সরকারি ব্রজমোহন কলেজ বরিশাল প্রফেসর মোঃ শফিকুর রহমান শিকদার, সংস্কৃতিজন এস এম ইকবাল, সাধারণ সম্পাদক বরিশাল নাটক পার্থ সারথি, সাধারণ সম্পাদক বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট বরিশাল স্নেহাংশু বিশ্বাস, কনসালটেন্ট ও আবাসিক সার্জন শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ বরিশাল ডাঃ সৌরভ সুতার। প্রধান আলোচক সহযোগী অধ্যাপক বাংলা বিভাগ সরকারি ব্রজমোহন কলেজ দেবাশীষ হালদারসহ শিক্ষক-শিক্ষার্থী, অভিভাবক এবং সংগঠনের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। শুরুতে অতিথিরা প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করেন। উত্তরণের পক্ষ থেকে সকল অতিথির ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়। পরে অতিথিরা রূপসী বাংলার কবি জীবনানন্দ দাশের ১২১তম জন্মদিন উপলক্ষে কবির বর্ণিল কর্ম জীবনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে আলোচনা করেন। আলোচনা শেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। গত রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় জাতীয় সংগীতের সঙ্গে জাতীয়ও সংগঠনের পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে সূচনা হয় তিন দিনব্যাপী মেলার। স্বারক বেলুন অবমুক্ত করে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন কলেজের উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. গোলাম কিবরিয়া। ‘তোমরা স্বপ্নের ঘরে চলে এসো-এখানে মুছিয়া যাবে হৃদয়ের ব্যথা’ এই শিরোনাম নিয়ে অনুষ্ঠিত মেলা জীবনানন্দ দাশের কবিতা ‘আবার আসিব ফিরে’ গানের সঙ্গে উত্তরণ কর্মীদের পরিবেশণায় উদ্বোধনী নৃত্যে প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে অনুষ্ঠান। মেলায় বইসহ বিভিন্ন পন্যের ৩০টি স্টল রয়েছে। সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত মেলা প্রাঙ্গন সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। প্রতিদিন সকালে ও সন্ধ্যায় আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে।