শিরোনাম
নিজস্ব প্রতিবেদক : করোনা দুর্যোগের মাঝে ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বরিশাল নগরীর মার্কেট খোলার অনুমতি দেওয়া হলেও সেই সিদ্ধান্ত আকস্মিক স্থগিত করা হয়েছে। ব্যবসায়িক নেতাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে চলছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। শনিবার সন্ধ্যারাতে পুলিশ প্রশাসনের সাথে বরিশাল শহরের ব্যবসায়ীদের বৈঠক শেষে অনানুষ্ঠান সিদ্ধান্তের বিষয়টি শোনা গেছে। তবে গির্জা মহল্লা, চকবাজার, মহসিন মার্কেট, বাজার রোড ও কাটপট্টি রোডে ব্যবসায়িক নেতা রোববার বৈঠক করে প্রশাসনকে অবহিত করার পরে বিষয়টি নিয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণ আসতে পারে।
ব্যবসায়ীদের একাধিক সূত্র জানায়- প্রথমে শহরের মাকের্ট খোলা রাখার ক্ষেত্রে পুলিশ-প্রশাসনের কাছে আবেদন রাখলে অন্তত ৬ টি শর্ত মেনে অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সারা দেশের করোনা দুর্যোগে ব্যবসায়ীরা মাকের্ট বন্ধ রাখার ঘোষণা দেওয়ার পরে শনিবার বরিশাল নগরীর ব্যবসায়ীরাও মত পরিবর্তন করেন। এবং শহরের মার্কেট বন্ধ রাখার বিষয়টি কার্যকর করতে অনুরোধ রাখেন। এনিয়ে দ্বিতীয় দফা বরিশাল কোতয়ালি মডেল থানায় রোববার সন্ধ্যা রাতে পুলিশের শীর্ষ সারির কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠকে বসেন ব্যবসায়ী নেতারা।
ওই বৈঠকে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন- উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি/দক্ষিণ) মোক্তার হোসেন, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) আকরামুল হাসান, সহকারি কমিশনার (এসি) রাসেল, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল ইসলাম, ওসি তদন্ত আব্দুর রহমান মুকুল এবং ওসি অপারেশন মোজাম্মেল হক।
পুলিশ ও ব্যবসায়িক নেতারা জানান, করোনা সংক্রামণ ছড়ানোর ক্ষেত্রে জনসামগম অনুরুপ একটি স্থান হওয়ার বিষয়টি অবহিত করে ওই বৈঠকে ব্যবসায়ীরা ঈদে মার্কেট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত জানান। এবং তা কার্যকরে পুলিশ-প্রশানের সহযোগিতা কামনা করেন। পুলিশ ব্যবসায়ীদের এমন সিদ্ধান্ত বাস্তাবায়নে উদ্যোগ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু বিষয়টি তাৎক্ষণিক ভাবে পুলিশ-প্রশাসন বা ব্যবসায়ীদের পক্ষে থেকে ঘোষণা দেওয়া হয়নি।
ওই বৈঠকে অংশ নেওয়া চকবাজার ব্যবসায়ী মালিক সমিতির সভাপতি শেখ তবারক বরিশালটাইমসকে জানান, সন্ধ্যারাতের বৈঠকে তারা সিদ্ধান্ত বদলের বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করে কার্যকরে আবেদন রেখেছেন। পুলিশ বিষয়টিকে ইতিবাচক হিসেবে গ্রহণ করলেও শহরের অপরাপর এলাকাগুলোর ব্যবসায়ীদের সমন্বয় করে চ‚ড়ান্ত ভাবে জানাতে বলেছেন। ফলে রোববার বিভিন্ন এলাকার ব্যবসায়ীদের সাথে বৈঠকের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে ব্যবসায়িক নেতারা। মূলত সেই বৈঠকের পরেই আনুষ্ঠানিক ভাবে মার্কেট বন্ধ রাখার ঘোষণা আসতে পারে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।’