শিরোনাম
মাদ্রাসার শ্রেনী কক্ষে শিক্ষার্থীদের বেড় করে রুপান্তরের দুই দিন ব্যাপি মেলা চলার সংবাদ নিতে চাইলে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হন বরিশাল পূর্বাঞ্চলীয় প্রেস ক্লাবের সম্পাদক মোঃ আরিফুর রহমান খান। গতো ১৩ই ফেব্রুয়ারী বরিশাল সদর উপজেলার চাদঁপুরা ইউনিয়নের চরপত্তনিয়া গ্রামের বেগম রফিকুল ইসলাম দাখিল মাদ্রাসার শ্রেনীকক্ষে রুপান্তরের দুই দিন ব্যাপি মেলা পরিচালনা করেন কর্তৃপক্ষ। যেখানে স্থানীয় থানার কোনো প্রকার অনুমতি ছিলনা কিংবা সিটিএসবি’র অনুমতিও ছিলোনা বলে বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আনোয়ার হোসেন তালুকদার নির্দিষ্ট করেছেন। বরিশাল জেলা প্রশাসক অজিয়র রহমান বলেন, শিক্ষার্থীদের ক্লাশ বন্ধ করে এনজিওর মেলা চলা বেআইনী, আপনারা স্থানীয় ওসিকে অবহিত করুন। বন্দর থানার ওসিকে মুঠোফোনে জানানো হলে তিনি বলেন, আমি এস আই মশিউর রহমানকে পাঠিয়েছি ক্লাশ রুম থেকে মেলা বন্ধ করে দেয়া হবে। মাদ্রাসা সুপার রফিকুল ইসলামের সাথে বিস্তারিত তথ্য নিয়ে বেড় হয়ে সাহেবের হাটে যাওয়ার পথে রাজারহাট ব্রিজ সংলগ্ন বরিশাল-ভোলা সড়কের উপর বসেই হটাৎ করে পিছন থেকে হামলার ঘটনা সংঘঠিত হয়েছে। ঘটনাটি বরিশাল জেলা প্রশাসক ও বন্দর থানার ওসিকে অবহিত করার অপরাধে দৈনিক বাংলাদেশ বানী’র সাংবাদিক আরিফ খান, বিপ্লবী বাংলাদেশ’র রিয়াজ মোল্লা ও দৈনিক দখিনের কাগজের সাংবাদিক মোঃ ফেরদাউসের উপর হামলা করেন স্থানীয় সন্ত্রাসী মেহেদী হাসান সম্রাট, সজিব খান, এনায়েত খানসহ আরো চার পাচজন। এরা এলাকার সরকার দলীয় পরিচয় দিয়ে ধাপিয়ে সাংবাদিক আরিফ খান ও ফেরদাউসকে বলেন তুই মাদ্রাসার মেলার খবর ডিসি ওসিকে জানাইলি কেন ? একথা বলে লাঠি ছোটা দিয়ে এলোপাতারী পিটিয়ে আরিফ খানকে নিলাফুলা জখম করে। এমনকি হত্যা করার জন্য বাগানের ভিতরে টানা হেচরা করেন। ইতিমধ্যে বন্দর থানা পুলিশ ঘটনা স্থানে হাজির হয়। পুলিশের উপস্তিতিতে আরিফ খান ও ফেরদাউসকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি ধামকিও দেয় উক্ত সন্ত্রাসীরা। এরপর পুলিশ এসে সাংবাদিকদের ঘটনাস্থান থেকে পাঠিয়ে দেয়। এঘটনায় সাংবাদিক আরিফ খান বাদী হয়ে বন্দর থানায় ওই তিন সন্ত্রাসীসহ আরো অপরিচিত কয়েকজনকে অজ্ঞাতনামা রেখে অভিযোগ দায়ের করেছেন। আহত আরিফ খান গুরুতর অবস্থায় বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এদিকে সাংবাদিকদের উপর হামলা ও নির্যাতনের প্রতিবাদে বরিশালে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন বরিশাল নিউজ এডিটরস্ কাউন্সিল ও বরিশাল পূর্বাঞ্চলীয় প্রেসক্লাবের সাংবাদিকবৃন্দ। গতকাল শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারী) নগরীর অশ্বিনী কুমার হলের সামনে নিউজ এডিটরস্ কাউন্সিলের সভাপতি আরিফিন তুষারের সভাপতিত্বে এসময় বক্তব্য রাখেন শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাত বরিশাল প্রেসক্লাবের সভাপতি মানবেন্দ্র বটব্যাল, সাধারন সম্পাদক এসএম জাকির, সিনিয়র সাংবাদিক নুরুল আলম ফরিদ, সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি গোপাল সরকার প্রমুখ। সংগঠনের সিনিয়র সহ-সভাপতি সৈয়দ মেহেদী হাসানের সঞ্চালনায় এসময় উপস্থিত ছিলেন, শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাত বরিশাল প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি কাজী আল মামুন, কোষাধ্যক্ষ মোশারেফ হোসেন, পাঠাগার সম্পাদক খান রুবেল, চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের ব্যুরো প্রধান রাহাত খান, যমুনা টেলিভিশনের ব্যুরো প্রধান কাওছার হোসেন, দেবাশীষ চক্রবর্তী, বরিশাল নিউজ এডিটরস্ কাউন্সিলের সহ-সভাপতি এমকে রানা, হুমায়ন কবির রোকন, সাধারন সম্পাদক রিপন হাওলাদার, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ফাহিম ফিরোজ, আরিফ হোসেন, কোষাধ্যক্ষ আসাদুজ্জামান মুরাদ, প্রচার সম্পাদক মজিবর রহমান নাহিদ, বরিশাল পূর্বাঞ্চলীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি মোঃ ফেরদাউস, সহ সভাপতি মোঃ শাহ্ পরান সুজন, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মোঃ রেদওয়ান শাওন, দপ্তর দম্পাদক এসএম শাহিন, ধর্ম সম্পাদক হাসান লাবু, কার্য নির্বাহী সদস্য সাইফ খান রানা, এমএম জাহিদসহ বিভিন্ন প্রিন্ট, ইলেক্ট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ। মানববন্ধনে একাত্বতা প্রকাশ করেন, শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাত বরিশাল প্রেসক্লাব, বরিশাল সাংবাদিক ইউনিয়ন, বরিশাল তরুণ সাংবাদিক ফোরাম, ফটো সাংবাদিক ঐক্য পরিষদ ও বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন। উক্ত ঘটনা ধামাচাপা দিতে এনায়েত খানের স্ত্রী মঞ্জু বেগম বাদী হয়ে চার-পাচ জন সাংবাদিকের নামে ষড়যন্তমূলক চাদাবাজির অভিযোগ দেন। পুলিশ কমিশনার মোঃ শাহাবুদ্দিন খান পিপিএম বলেন, বিষয়টি দেখেছি, তবে সাংবাদিকের উপর হামলার ঘটনায় সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।