শিরোনাম
উদ্ভাবন করা করোনাভাইরাস শনাক্তকরণের কিট সরকারের ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর নেয়নি বলে জানিয়েছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্ট্রি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। এজন্য সংবাদ সম্মেলন ডেকে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তিনি।
রোববার বিকালে রাজধানীর ধানমণ্ডির গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
সরকারের ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর ব্যবসায়িক স্বার্থে জাতীয় স্বার্থের বিপক্ষে কাজ করছে মন্তব্য করে জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, তারা নানা অজুহাত দেখিয়ে গণস্বাস্থ্যের কিট গ্রহণ করেনি। আমরা জনগণের স্বার্থে শুধু সরকারের মাধ্যমে পরীক্ষা করে কিটটি কার্যকর কিনা- তা দেখতে চেয়েছিলাম। কিন্তু সরকারিভাবে প্রতি পদে পদে পায়ে শিকল দেয়ার চেষ্টা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গতকাল শনিবার বিকালে একই জায়গায় নিজের উদ্ভাবিত করোনা পরীক্ষার কিট ‘জিআর কোভিড-১৯ ডট ব্লট’ হস্তান্তর করে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র। আমন্ত্রণ জানানোর পরও যুক্তরাষ্ট্রের গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার্স ফর ডিজিস কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) ছাড়া এ কিট গ্রহণ করতে সরকারের কোনো প্রতিষ্ঠান যায়নি।
সেদিন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী হস্তান্তর অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, সরকারের কোনো প্রতিনিধি আসেননি। আমি জানি না কেন আসতে পারেননি। হয়তো তারা ব্যস্ত। তবে আগামীকাল (রোববার) আমরা আমাদের কিট সরকারের কাছে পৌঁছে দেব।
কিন্তু রোববার বিকালে সংবাদ সম্মেলনে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী জানান, ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের কার্যালয়ে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের করোনা কিটের উদ্ভাবক ড. বিজন কুমার শীলসহ তিনজন এটি জমা দিতে যান। তবে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর তা গ্রহণ করেনি। এমনকি গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের তিনজনের একজনকে ওষুধ প্রশাসনের কার্যালয়ে প্রবেশ করতেও দেয়া হয়নি।
জাফরুল্লাহ চৌধুরী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আপনাদের বুঝতে হবে- কীভাবে তারা ব্যবসায়িক স্বার্থকে রক্ষা করছেন। ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর অনৈতিক কাজ করছে, দেশের ক্ষতি করছে। তারা ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানকে সঙ্গে রেখে চলেন, তাতে তাদের লেনদেনে সুবিধা হয়।
তিনি আক্ষেপ করে আরও বলেন, গত ১২ এপ্রিল কিটের যথার্থতা প্রমাণের জন্য সরকারের কাছে রক্ত চেয়েছি। কিন্তু পাচ্ছিলাম না। পরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের হস্তক্ষেপে ২২ এপ্রিল পেয়েছি। আমার মতো লোক ২৫ বার ফোন করেছি।
সরকারের ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের উদ্দেশে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, আপনাদের সব ন্যায্য পাওনা দেব, কিন্তু ঘুষ দেব না। গণস্বাস্থ্যের ৪৮ বছরে কাউকে ঘুষ দেইনি, এতে প্রোডাক্ট বাজারে আসুক না আসুক, আমরা ঘুষ দেইনি, দেব না। প্রয়োজনে আমরা আন্দোলন করে যাব।