শিরোনাম
সময়টা বড্ড খারাপ যাচ্ছে। বিশ্ব এখন পুরো অসহায়।অদৃশ্য এক রোগ কেড়ে নিতাছে লক্ষাধিক প্রান। এখন পর্যন্ত বের হয়নি করোনা নামক এই ভয়াল থাবার প্রতিশেধক।তবুও থেমে নেই চিকিৎসক, বিজ্ঞানী ও গবেষকরা। সব মিলিয়ে মানুষের ভিতর কৌতূহল ও থমথমে আতংক বিরাজ করছে।যদিও বিশ্বের বড় বড় দেশের সরকারের ভাষ্য হচ্ছে, একমাত্র সৃষ্টিকর্তা ছাড়া কোন উপায় নেই। ঠিক যেন আঘাত টা বাংলাদেশে অন্যনা দেশের তুলনায় বড় ক্ষতির সম্মুখে ফেলেছে।যে দেশের মানুষ কর্ম ছাড়া অচল সেখানে ঘরে থাকাটা বাঙালির জন্য খুবিই যন্ত্রনাদায়ক।তবুও মেনে নেতে হয় এই ভয়াল থাবা করোনাভাইরাস নামক এক অদৃশ্য শক্তির কাছে।নেই কোন কর্ম,ঘরে নাই খাবার।ঠিক চিন্তিত হয়ে জীবন মৃত্যুর সন্ধিখানে বেচে রয়েছে অসহায় মানুষগুলো। সেই ধারবাহিকতার কথা বলতে গেলে চোখে মুখে,,অসহায়ত্ব’র ছাপ নিয়ে বেচে আছে নগরীর ৫ নং ওয়ার্ড পলাশপুরের ১৫ হাজার বাসিন্দা।বলা যায়, শহরতলীর ভিতর এই ওয়ার্ডটি মানুষ চরম দুর্দশা ও হতাশাগ্রস্থ ভাবে মানবেতর জীবন যাপন করছে।তাদের লকভ্রষ্ট বিওবান কিংবা জনপ্রতিনিধিরা কখন তাদের দরজায় খাদ্য নিয়ে কড়া নাড়বে।শুধু যেন দুবেলা ডাল-ভাত খেয়ে কোন রকম দিনযাপন করতে পারে এটাই এখন টার্গেট হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে এই হতাশাগ্রস্থ মানুষের পাশে সার্বক্ষনিক মুহুর্ত নজরে রাখছে তরুন বয়সী ওয়ার্ড কাউন্সিলর কেফায়েত হোসেন রনি।বলা যায়,ওই ওয়ার্ডের শেষ আস্রয়স্থল হিসেবে মানুষের ভরসা হয়ে দাঁড়িয়েছেন এই তরুন বয়সী যুবক।ঠিক এমনটাই আভাস মিলেছে ওই ওয়ার্ডের মানুষের কন্ঠ থেকে। বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে প্রথমবারের মত দেশের কম বয়সী কনিষ্ঠ কাউন্সিলর হিসেবে খেতাব পান কেফায়েত হোসেন রনি।সংশ্লিষ্টরা মনে করেন একমাএ তরুন প্রতিনিধিরাই জনগনের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রাখতে প্রস্তুত থাকেন।তবে কোন অংশে কম নন এই কাউন্সিলর।নিজের সর্বস্ব দিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন ঠিক এমনটাই প্রমান মিলেছে দেশের এই দুঃসময়ের তার কর্মকান্ডে। বরিশাল সিটি মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ কতৃক বরাদ্দকৃত খাদ্য সামগ্রী প্রতিনিয়ত মানুষের দরজার স্বশরীলে উপস্থিত হয়ে বিতরন করছেন।থামাতে পারেনি রোদ কিংবা বৃষ্টি। অনেকসময় রাত গভীর হয়ে গেলেও তার খাদ্য সামগ্রী বাধার মুখে পড়েনা।বরংচ শত বাধা পেড়িয়ে মানুষের দরজায় খাদ্য নিয়ে প্রস্তুত হন এই তরুন কাউন্সিলর।
তার এমন কর্মকান্ডে ভুয়ংসী প্রশংসা করছেন অএ এলাকার জনগন। তরুন বয়সী কাউন্সিলর রনির সাথে এই প্রতিবেদকের আলাপকালে, সে জানায় অনেকসময় সরকার কতৃক বরাদ্দকৃত খাদ্য সামগ্রী আমার ওয়ার্ডে পৌঁছালে ও আমি বিতরনে হিমশিম খাই।কারন, ১৫ হাজার বাসিন্দা বসবাস করলেও খুব সীমিত ভাবে খাদ্য বাজেট আসে।তবে আমি সকলকে নিরাশ না করে নিজের জামানত থেকে হলেও পাশে থাকার আশ্বাস দিই।আমার এই ওয়ার্ডটিতে বলতে গেলে ৮০ শতাংশ মানুষ কর্মজীবী, দিনমজুর,শ্রমিক সহ বিভিন্ন পেশার মানুষ।তারা এখন সকলেই কর্মের অভাবে ঘরে বসে রয়েছেন।অবশ্য এই ক্রান্তিকালে সকলের রীতিমত খাদ্য চাহিদা রয়েছে।তবুও আমি সব সময় এই অসহায় মানুষের পাশে আছি এবং ভবিষ্যৎ থাকতে চাই।পাশাপাশি বলতে চাই সকলে মিলে ঘরে থাকব এবং যার যে সামার্থ্য সেখান থেকে মানুষের পাশে দাড়াব।মনে রাখতে হবে দেশের এই ক্রান্তিকালে সুযোগ না নিয়ে করোনাভাইরাস নামক এই অদৃশ্য শক্তিকে প্রতিরোধ করতে হবে।
নামাজের সময়সূচি | |
---|---|
February 6, 2025 | |
Fajr | 5:19 am |
Sunrise | 6:33 am |
Zuhr | 12:12 pm |
Asr | 4:11 pm |
Maghrib | 5:51 pm |
Isha | 7:04 pm |
Dhaka, Bangladesh |