শিরোনাম
করোনাভাইরাস রোগী শনাক্ত হওয়ার পর এই ভাইরাসটির সংক্রমণ বিস্তার রোধে উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার খ্যাত বগুড়া জেলাকে লকডাউন বা অবরুদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। পাশাপাশি বাইরের কোনো লোক যেন ঢুকতে না পারে সেজন্য জেলার প্রবেশমুখ মহাসড়কের শেরপুর উপজেলার সীমাবাড়ী বাজারে বসানো হয়েছে পুলিশের চেকপোস্ট।
প্রাণঘাতী করোনা প্রতিরোধে স্থাপিত এই চেকপোস্টে পুলিশের কড়াকড়ি আরোপের কারণে অন্য জেলার লোকজন সহসায় ঢুকতে পারছেন না। তবে এরপরও বসে নেই তারা।নানা পন্থা অবলম্বন করে এবং জীবনের ঝুঁকি নিয়ে লকডাউনের নির্দেশনা ভেঙে ঢাকা থেকে প্রতিনিয়তই লোকজন এই জেলায় প্রবেশ করছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে।
এক্ষেত্রে পুলিশের চোখ ফাঁকি দিতে মাছবাহী পিকআপে মাছের ড্রামে করে লুকিয়েও আসছেন তারা। এছাড়া জরুরি সেবা, গণমাধ্যম, খাদ্যপণ্য ইত্যাদি লেখা ভুয়া স্টিকার লাগানো যানবাহনেও যাত্রী পরিবহন চলছে।
বৃহস্পতিবার সকালের দিকে পুলিশের চেকপোস্টে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ থেকে মাছের ড্রামে লুকিয়ে যাত্রী নিয়ে আসা পিকআপ আটকের পর এমন তথ্যই ওঠে আসে।
জেলার পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভূঞার নির্দেশে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শেরপুর সার্কেল) গাজীউর রহমান, শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. হুমায়ুন কবির, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ ওই তল্লাশি অভিযানের নেতৃত্বে দেন। পরে আটক পিকআপের যাত্রীরা এহেন কর্মকাণ্ডের জন্য ক্ষমা চাওয়ায় তাদের নাম পরিচয় লিপিবদ্ধ করে সংশ্লিষ্ট জেলা-উপজেলা প্রশাসনকে জানানো হয়।
বগুড়ার শেরপুর থানার ওসি মো. হুমায়ুন কবির জানান, প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস যেন মহামারী রুপ নিতে না পারে সেজন্য সরকারের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। আর সরকারের নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে কঠোর অবস্থান নিয়েছে আইনশৃঙখলা বাহিনী।
জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের না হওয়া এবং সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সচেতনতামূলক মাইকিং করে সবাইকে অনুরোধও জানানো হয়েছে। এরপরও নানা অজুহাতে অনেক মানুষ ঘর থেকে বের হচ্ছেন। সরকারি নির্দেশনাও মানছেন না তারা। তাই প্রতিনিয়ই পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে অভিযান চালানো হচ্ছে।