শিরোনাম
নভেল করোনা ভাইরাসের ক্ষতি মোকাবেলা ক্ষতিগস্ত শিল্প সেবা খাতের জন্য ৩০ হাজার কোটি টাকার প্যাকেজ ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এখাতের উদ্যোক্তারা চলতি মূলধন বা ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল হিসেবে সাড়ে ৪ শতাংশ সুদে ঋণ নিতে পারবেন।
প্যাকেজের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ঘোষণা করলেও তা ঋণ হিসেবে প্রধান করবে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো। করোনার সময়ে ব্যাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর অর্থ সংকট চরমে। এজন্য প্যাকেজ বাস্তবায়ণে ১৫ হাজার কোটি টাকার পুনঅর্থায়ন তহবিল গঠন করলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এই তহবিল মূলত ব্যাংকগুলোর তারল্য সরবারহ বাড়াবে।
বৃহস্পতিবার এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনে বাংলাদেশ ব্যাংক বলেছে, নভেল করোনা ভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কারণে বাংলাদেশে সম্ভাব্য অর্থনৈতিক প্রভাব মোকাবেলায় ক্ষতিগ্রস্ত শিল্প ও সার্ভিস সেক্টরের প্রতিষ্ঠানসমূহের জন্য (সিএসএমই ব্যতীত) প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক ঘোষিত আর্থিক সহায়তার আওতায় উক্ত সার্কুলারের মাধ্যমে ৩০ হাজার কোটি টাকার ঋণ বা বিনিয়োগ সুবিধা গ্রহণ বা প্রদানের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নির্দেশনাসমূহ জারি করা হয়।
প্রজ্ঞাপনের নির্দেশনা অনুযায়ী তফসিলি ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত শিল্প ও সার্ভিস সেক্টরের প্রতিষ্ঠানসমূহকে তাদের নিজস্ব তহবিল থেকে ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল বাবদ ঋণ বা বিনিয়োগ সুবিধা দেবে। এ পর্যায়ে, উক্ত আর্থিক সহায়তা প্যাকেজের তারল্য সরবরাহ নিশ্চিতকল্পে বাংলাদেশ ব্যাংক ১৫ হাজার কোটি টাকার একটি আবর্তনশীল পুনঃঅর্থায়ন স্কিম গঠন করেছে। ওই প্যাকেজের আওতায় ব্যাংকগুলো যে পরিমান ঋণ দিবে তার অর্ধেক পুনঅর্থায়ন তহবিল থেকে নিতে পারবে। পুনঅর্থায়ণ তহবিল ব্যাংক ৪ শতাংশ সুদে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছ থেকে ঋণ নিতে পারবেন। এই তহবিলের মেয়াদ হবে ৩ বছর।উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক ঘোষণার পর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের জারি করা নীতিমালা অনুসারে, ৩০ হাজার কোটি টাকার ওই প্যাকেজ থেকে উদ্যোক্তার সাড়ে ৪ শতাংশ সুদে ঋণ পাবেন ব্যাংক থেকে। ব্যাংক আরও সাড়ে ৪ শতাংশ সুদ ভর্তুকি হিসেবে পাবেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছ থেকে। একজন উদ্যোক্তা তার মঞ্জুরীকৃত ওয়ার্কিং ক্যাপিটালের সর্বোচ্চ ৩০ শতাংশ প্যাকেজের আওতায় ঋণ পাবেন। আর সরকার সুদ ভর্তুকি দেবে এক বছর।
ইত্তেফাক/