শিরোনাম
কারওয়ান বাজারের পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলছেন, সব ধরনের পণ্য আছে। গত বছরের তুলানায় আমদানিও অনেক ভালো। তবে পরিবহন সংকটের কারণে বেশি ভাড়া দিয়ে পণ্য আনতে হচ্ছে যে কারণে দাম বাড়তি।
চট্টগ্রাম ব্যুরো জানায়, চট্টগ্রামে সিন্ডিকেটের কবলে চালের বাজার। করোনা মহামারীর এ সময়ে চট্টগ্রামে সব ধরনের চালের দাম বেড়েছে। বিশেষ করে নিন্ম ও মধ্যবিত্তের চাল বলে খ্যাত মোটা ও সিদ্ধ চালের বস্তা প্রতি ২০০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। মিল মালিক ও চাল ব্যবসায়ীদের দাবি, চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকার কারণে দাম বাড়ছে।
অন্যদিকে ক্রেতা ও ভোক্তাদের অভিযোগ চাকতাই-খাতুনগঞ্জ ও পাহাড়তলির চালের আড়তদাররা সিন্ডিকেট করে চালের বাজারকে অস্থির করে তুলছেন। রমজান সামনে রেখে অন্যান্য নিত্যপণ্য- আদা, পেঁয়াজ, রসুন, খেজুর, চিড়া এবং মসুরের ডালের দামও এক সপ্তাহের ব্যবধানে অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে গেছে। রোজার আগে নিত্যপণ্যের এমন দাম বৃদ্ধিতে ক্রেতাদের মধ্যে নাভিশ্বাস উঠেছে।
খুচরা চাল ব্যবসায়ীরা বলছেন, মোটা আতপ চাল বস্তাপ্রতি বিক্রি হচ্ছে মানভেদে ১ হাজার ৯শ’ টাকা থেকে ২ হাজার টাকা। গত সপ্তাহে তা ১ হাজার ৭০০ টাকা থেকে ১ হাজার ৮০০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। মোটা সিদ্ধ চাল বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫০ টাকা থেকে ২ হাজার ১শ’ টাকায়। আগে তা বিক্রি হয়েছিল ১ হাজার ৮শ’ টাকায়। স্বর্ণা সিদ্ধ চাল বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ২৫০ টাকায়। গুটি সিদ্ধ চাল বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ১৫০ টাকা থেকে বেড়ে ২ হাজার ৪শ’ টাকা। ১ হাজার ৯শ’ টাকা দামের বেতি আতপ চাল এক সপ্তাহের ব্যবধানে বস্তাপ্রতি ৩০০ টাকা বেড়ে ২ হাজার ২শ’ টাকা বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া মিনিকেট, জিরাশাইল, পাইজমসহ সব ধরনের চাল বস্তায় সর্বনিন্ম ৩০০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া রমজানের অত্যাবশ্যকীয় চারটি ভোগ্যপণ্য- ছোলা, ডাল, চিনি ও ভোজ্যতেলের দামও হু হু করে বেড়ে গেছে। মজুদ করে পণ্যের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করার কারণে এমনটি হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্টরা অভিযোগ করেন। তারা বলছেন, এখনই সরকারের উচিত বাজার তদারকির ব্যবস্থা করা।
মেসার্স এসএম রাইস মিলের মালিক আবুল কালাম জানান, চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় চালের দাম বাড়ছে। মিল মালিকদের হাতে কোনো চাল নেই। যা ছিল দাম বাড়ার আগেই বিক্রি করে দিয়েছে। এখন উত্তরবঙ্গ থেকে এনে বিক্রি করতে হচ্ছে। পরিবহণ সংকটের কারণে চালের সরবরাহ কমে গেছে। সংকটের কারণে দাম বেড়েছে।
অন্যদিকে ৩৫ টাকার পেঁয়াজ এক সপ্তাহের ব্যবধানে দ্বিগুণ বেড়ে ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। সব ধরনের খেজুরের দামও বেড়ে গেছে। খেজুর প্রতি কেজিতে বেড়েছে ১০০ থেকে ২০০ টাকা। ৫০ কেজির বস্তাপ্রতি চিড়ার দাম ১৮০০ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ২৭০০ টাকা। এই দাম বৃদ্ধির জন্য পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীরা আবার পরস্পরকেও দুষছেন।