শিরোনাম
চিকিৎসার জন্য ভারতের চেন্নাইয়ে গিয়ে লকডাউনের কারণে আটকে পড়া ১৬৪ জন বাংলাদেশি দেশে ফিরেছেন।
সোমবার বিকাল ৩টা ৪৮ মিনিটে ঢাকার ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের বিএস-২১০ ফ্লাইটটি (১৬৪ সিট) হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। সেখানে আটকে থাকা ৭০০-৮০০ বাংলাদেশির মধ্যে প্রথম ফ্লাইটে তাদের ফিরিয়ে আনে ইউএস-বাংলা।
নয়া দিল্লীর বাংলাদেশ হাইকমিশন ও ইউ এস বাংলা এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে। পর্যায়ক্রমে বাকি সকল রাজ্য থেকে প্রত্যাবর্তনে আগ্রহীদের দেশে ফেরানোর জন্য সার্বক্ষণিকভাবে কাজ করছে দূতাবাস।
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, ফ্লাইটটি নির্ধারিত সময়ের এক ঘণ্ট দেরিতে বেলা ১টা ১৯ মিনিটে বাংলাদেশের উদ্দেশে রওনা হয়ে দুই ঘণ্টার যাত্রা শেষে ঢাকায় অবতরণ করে। সূত্র জানায়, যারা ফিরেছেন তাদের সবার করোনা পরীক্ষা করানো হয়েছে। তাদের ফলাফল ‘নেগেটিভ’ এসেছে। অর্থাৎ কারও শরীরে করোনার সংক্রমণ নেই। তারা সেই টেস্টের ফলাফলের কপি নিয়েই দেশে ফিরছেন। এরপরেও বিমানবন্দরে তাদের স্ক্রিনিং হবে। স্ক্রিনিংয়ের পর প্রয়োজন অনুযায়ী তাদের প্রাতিষ্ঠানিক বা হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হবে।
নয়াদিল্লীর বাংলাদেশ হাইকমিশন আশা প্রকাশ করে এক বার্তায় জানায়, ১৬৪ জনের দেশের প্রত্যাবর্তনের ধারাবাহিকতায় আগামী কয়েক দিনের মধ্যে কয়েকটি ফ্লাইট ভারতে চিকিৎসার জন্য যাওয়া বাংলাদেশি নাগরিকরা চেন্নাই হয়ে দেশে ফিরতে পারবে। বর্তমানে তামিলনাড়ু ও কর্নাটকে আটকে থাকা অসুস্থ ও প্রবীণদের আকাশপথে দেশে ফেরার জন্য অনুমোদন পাওয়া গেছে ও তাদের প্রত্যাবর্তন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। পর্যায়ক্রমে বাকি সকল রাজ্য থেকে প্রত্যাবর্তনে আগ্রহীদের দেশে ফেরানোর জন্য দূতাবাস সার্বক্ষণিকভাবে কাজ করছে।
ইউএস বাংলা জানায়, চেন্নাইসহ ভারতে আটকে পড়া বাংলাদেশিদের ফিরিয়ে আনতে ফ্লাইট পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেন তারা।
সবকিছু ঠিক থাকলে আটকে পড়া বাংলাদেশিদের জন্য আরও কয়েকটি ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে।
এয়ারলাইন্সটি জানায়, এই দুই রুটের টিকিট রিজার্ভেশন সংক্রান্ত যে কোনো তথ্যের জন্য ১৩৬০৫ অথবা ০১৭৭৭৭৭৭৮০০-৮০৬ নম্বরে যোগাযোগ করতে হবে।