শিরোনাম
বরিশালে প্রশাসনকে ফাঁকি দিয়ে অপ্রয়োজনীয় দোকান খোলা রাখার ১৯ দোকানিকে ৭১ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা।বরিশাল জেলা প্রশাসনের নিয়মিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজও বরিশাল নগরীতে মোবাইল কোর্ট অভিযান অব্যাহত আছে। আজ ২০ এপ্রিল সোমবার সকাল থেকে বরিশাল মহানগরীর চৌমাথা মোড়, নথুল্লাবাদ, কাশিপুর বাজার, বাংলা বাজার, আমতলার মোড়, সাগরদী, রুপাতলী, পুলিশ লাইন, বাজার রোড, কাঠপট্টি, পোট রোড, ফলপট্টি, গীর্জা মহল্লা, বান্দ রোড, চকবাজার, হাসপাতাল রোড, নতুন বাজার এবং লাকুটিয়া সড়ক এলাকায় জেলা প্রশাসন বরিশাল এর পক্ষ থেকে মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়। জনসমাগম করে অপ্রয়োজনীয় দোকান খোলা রেখে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত ও দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে বরিশাল জেলা প্রশাসনের মোবাইল কোর্ট অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন অপরাধে ১৯ টি দোকান কে মোট ৭১ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা অাদায় করা হয়। নগরীর বিভিন্ন স্থানে জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এস, এম, অজিয়র রহমানের নির্দেশনায় মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করেন। এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জেলা প্রশাসকের কার্যালয় বরিশাল মোঃ জিয়াউর রহমান এবং এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ সাইফুল ইসলাম। করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব সম্পর্কে গণসচেতনতা কার্যক্রম পরিচালনার পাশাপাশি এ সময় বিভিন্ন টি-স্টল, মুদি দোকান ও এলাকার মোড়ে মোড়ে যেখানেই জনসমাগম দেখা গেছে তা ছত্রভঙ্গ করা হয় এবং নিরাপদ দূরত্বে চলার নির্দেশনা, মাক্স পরার নির্দেশনা প্রদানের পাশাপাশি জেলা প্রশাসন এর পক্ষ থেকে মাক্স বিতরণ করা হয়। এসময় সবাইকে যৌক্তিক প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে আসতে নিষেধ করা হয় এবং সন্ধ্যা ৬ টার মধ্যে জরুরি ঔষধ ব্যতীত সকল প্রকার দোকান বন্ধ রাখার নির্দেশ প্রদান করা হয়। এসময় মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনায় করেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ জিয়াউর রহমান। অভিযান পরিচালনাকালে নগরীর পোর্ট রোড এলাকায় বেশ কয়েকটি জুতার দোকান ও মাছ ধরার বিভিন্ন উপকরন জাল বিক্রি করার দোকান খোলা রেখে জনসমাগম করে পণ্য বিক্রয় করছে পাশাপাশি সরকারি আদেশ অমান্য করে দোকান খোলা রেখে রোগের বিস্তারে ঝুঁকি বৃদ্ধি করার কারণে পোর্ট রোডের ৬ টি দোকানকে সংক্রামক রোগ (প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইন ২০১৮ এর ২৫ (১) ধারায় বিভিন্ন অংকে মোট ৩০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়। এরপর নগরীর গির্জা মহল্লা এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, মার্কেটের বাইরের অর্ধ শাটার খোল রেখে দোকানকে সংকেত দেয়ার জন্য বাইরে লোক দাঁড় করিয়ে রেখে ভেতরে স্বাভাবিকভাবেই দোকানের অভ্যন্তরে কাস্টমার রেখে কয়েকটি দোকানকে কার্যক্রম চালু অবস্থায় পাওয়া যায়। বিভিন্ন মোবাইল ও ইলেকট্রনিকস এর দোকান খোলা রেখে জনসমাগম করে দোকান পরিচালনা করছে তার এমন অভিযোগ আমলে নিয়ে গির্জা মহল্লা এলাকার ৯ টি দোকানকে একই আইনে মোট ৩৮ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়। এসমসয়, বেশ কয়েকটি স্পটে টিসিবির পণ্য বিক্রয়ে ক্রেতাদের দীর্ঘ লাইনে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করা হয়। অভিযানের পাশাপাশি সচেতনামূলক কার্যক্রম হিসেবে বেশ কয়েকটি স্থলে মাস্ক বিতরণ করা হয়। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা সহযোগিতা করেন এএসপি মুকুর চাকমার নেতৃত্বাধীন র্যাব-৮ এর একটি টিম। অপরদিকে করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতকরণ ও গণসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ সাইফুল ইসলাম এর নেতৃত্বে নগরীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় নগরীর চকবাজার এবং বাজার রোডে অপ্রয়োজনীয় দোকান খোলা রেখে জনসমাগমের মাধ্যমে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের আশঙ্কা তৈরীর অপরাধে দন্ডবিধির ১৮৬০ এর ২৬৯ ধারা মোতাবেক চারটি দোকানকে মোট ৩ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়। অভিযানে আইনানুগ সহযোগিতা প্রদান করেন বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের একটি টিম। অভিযান শেষে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটদ্বয় বলেন, জনগণকে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে রক্ষা এবং করোনা ভাইরাসের বিস্তার এবং এটিকে পুঁজি করে অসাধু ব্যবসায়ীদের বাজার অস্থিতিশীল করার অপচেষ্টা রোধকল্পে জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এস, এম, অজিয়র রহমান সদা সচেষ্ট এবং তাঁর নির্দেশনায় নিয়মিত এ ধরণের অভিযান অব্যাহত থাকবে।