শিরোনাম
রিপোর্ট ঃ আসাদুজাজামান।। করোনায় আক্রান্ত লাশের কাছে যায় না পিতা. মাতা. স্ত্রী. সন্তান. ভাই. স্বজন. প্রতিবেশী ও সুভাকাঙ্খীরা. জানাযা পরতে ও কবর খোদ তে আসেনা কেউ.। ডাক্তার ও নার্স আক্রান্ত হওয়ার ভয়ে চিকিৎসা দিতে চায় না । প্রতিদিন চারিদিক থেকেনতুন করে আক্রান্ত ও মৃত্যুর খবর আসছে।আজকে পর্যন্ত হাজার জন আক্রান্ত ও ৪৬ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে । রাজধানী সহ গোটা দেশে ছড়িয়ে পাড়েছে মরন ঘাতক এই করোনা ভাইরাস।। চলছে লকডাউন। আক্রান্ত ব্যাক্তির এত করুন ভাবে মৃত্যু হয় তা জেনেও আমরা সরকার. পুলিশ. rab. সেনা বাহিনী. জেলা প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধি কারো কথাই শুনছি না।। বারা বার সকলকে ঘরে থাকতে সচেতন করা এমনকি বলপ্রয়োগ করলেও আমরা আমলে নিচ্ছিনা।। নানান অযুহাতে রাস্তায় বের হয়ে নিজেকে মৃত্যুর দিকে ধাবিত করছি।। ঘর থেকে বের হওয়া বন্ধ না করলে ভয়ানক পরিস্থিতির দিকে ধাবিত হবে গোটা বাংলাদেশ।। আমরা সচেতন না হলে পরিস্থতি বেসামাল হয়ে যাবে।। ঘরে ঘরে পরে থাকবে লাশ। মাটি দেয়ারও লোক থাকবে না।। লাশ রেখে স্ত্রী সন্তান স্বজন ঘর ছেরে পালাবে . তাদেরও কোথায় জাগা হবেনা. আকাশ বাতাস ভারী হয়ে যাবে পচা লাশের গন্ধে। হয়ত সেদিন সব হারিয়ে আমরা কাদিয়া বলবো. সরকারের নির্দেশ মেনে প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধি স্যারেরা আমাদেরকে ঘরে বলেছিলেন. সেটাই সোনা উচিত ছিলো।। কিন্তু ততক্ষনে বাংলাদেশ হয়ে যাবে মৃত্যুপুরী।। ঘরে থাকবে না খাবার. থাকবেনা থাকার স্থান। কারন ভয়ে কেউ খাবার নিয়ে যেতেও চাইবে না। ছিন্ন ভিন্ন হয়ে যাবে সব অহংকার ও সাজানো সুখের সংসার।। আমরা সেই পথেই হাটছি।।আর জীবন সায়ান্হের এই করুন পরিনতির জন্য আমারা নিজেরাই দায়ী থাকবো। ভেবে দেখেছেন? পরিবারের একজন লোক করোনায় আক্রান্ত হলে বা মারা গেলে সেই পরিবারের অবস্থাটা কি হবে? । ঘরে থেকে নিরাপদ দুরত্ব বজায় রেখে আমরা এই মহা বিপদ থেকে নিজেকেসহ গোটা পরিবার সমাজ ও দেশকে নিরাপদ রাখতে পারি।। এটা না মানলে আমাদের কপালে হয়তবামৃত্যুর পরে গোসল এবং জানাযাটাও ভাগ্যে জুটবে না।। দেখা হবেনা স্ত্রী সন্তান পিতা মাতা ভাই ও স্বজনের সাথে। তাই আমরা কবরে যাবো. না বাচতে চাইবো এই সিদ্ধান্তটা আমাদেরই নিতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে জনপ্রতিনিধি প্রশাসন হর্ন্যে হয়ে মানুষকে বুঝানোর চেস্টা করেও আমাদের ঘরমুখী করতে পারছেনা। এমন একদিন আসবে আমাদেরকে বলার লোকও খুজে পাবো না। এখনই লাশ দাফনের স্বজন নেই। পরে কান্না ও আহাজারী শুনার লোকও থাকবে না।। এখনো সময় আছে।। আসুন সবাই ঘরে থাকি. সরকারের নির্দেশনা গুলো মেনে চলি। তাহলে এই করোনা ভাইরাস আমাদের বড় ক্ষতি করার সুযোগ পাবে না।