শিরোনাম
মুলাদী প্রতিনিধি: দেশ যখন করোনা আতংকে থমকে আছে সেই মুর্হুতে জনপ্রতিনিধিদের চাল চুরি ও আত্মসাৎ এর ঘটনায় উদ্বিগ্ন দেশ। একের পর এক চাল চুরির ঘটনায় আলোচনা সমালোচনার মুখে পড়ছে অভিযুক্তরা। পাশাপাশি সুষ্টু তদন্তের মাধ্যমে আইনের আওতায় আনা হচ্ছে তাদের।
এবার জেলেদের জন্য বরাদ্ধকৃত চাল আত্মসাৎ এর অভিযোগ উঠেছে মুলাদী উপজেলার ২নং নাজিরপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু হাসানাত জাপান এর বিরুদ্ধে। আজ (১৩ এপ্রিল) সোমবার দুপুর ১২ টায় মুলাদী উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, এ এসপি মুলাদী সার্কেল, মুলাদী থানার অফিসার ইনচার্জ সহ মাননীয় সংসদ সদস্য বরিশাল-৩ এর মাধ্যমে ফোনে ও লিখিত অভিযোগ দায়ের করে ২নং নাজিরপুর ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ডের জেলেদের সভাপতি ও সম্পাদক গণ।
দরখাস্তে উল্লেখ্য করেন আমরা ৩০৯ জন জেলে গত ৪ বছর যাবৎ জেলেদের নির্ধারিত ৪০ কেজি চাল এর পরিবর্তে ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ৩০ কেজি করে বিতরন করেন। তাতেও তিনি ক্ষ্যান্ত না হয়ে প্রতিটি কার্ডধারী জেলেদের নিকট থেকে প্রতিকার্ড বাবদ ১০০ টাকা মোট প্রতিমাসে ৩০৯০০ টাকা করে নেন।
জেলেদের মধ্যে একজন জেলে সাংবাদিকদের বলেন, গত ৪ বছরের মধ্যে আমি এই প্রথম জেলে কার্ড থাকা স্বত্বেও চাল পেয়েছি ১৬ কেজি। এ ব্যাপারে ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আবু হাসানাত জাপানের নিকট জানতে চাইলে, তিনি বলেন আমি সকল জেলেদের চাল বিতরন করেছি। আমার উপর যে অভিযোগ আসছে তা মিথ্যা।
এ ব্যাপারে মুলাদী উপজেলার নির্বাহী অফিসার শুভ্রা দাসের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আজ আমরা একটি অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ের জন্য একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। সত্যতা পাওয়া গেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।