শিরোনাম
বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন ২ রোগির শরীরে করোনা ভাইরাসের সংক্রমন সনাক্ত হওয়ার পর বরিশাল জেলাকে লকডাউন ঘোষনা করেছে জেলা প্রশাসন। তার ওপর ওই দুই রোগি গ্রামের বাড়ি ও কর্মস্থলের ওপর বিশেষ নজরাদারি জোরদার করেছে স্থানীয় প্রশাসন। যারমধ্যে মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার চরগোপালপুর ইউনিয়নের কাজিরচর গ্রামের বাসিন্দা আক্রান্ত হওয়ায় মুন্সি বাড়িসহ আশপাশের কয়েকবাড়ি মিলিয়ে ১ কিলোমিটার এলাকাকে আলাদাভাবে লকডাউনের আওতায় এনেছে উপজেলা প্রশাসন।
এছাড়া অপর করোনা পজেটিভ ব্যক্তির কর্মস্থল জনতা ব্যাংকের বাকেরগঞ্জ উপজেলার কলসকাঠি ইউনিয়ন শাখা, ডিজিটাল ক্লিনিক নামে একটি স্বাস্থ্যসেবা প্রদান কেন্দ্র ওই ব্যক্তির বাড়িসহ ৮ টি বাড়ি মিলিয়ে দশমিক ৫ কিলোমিটার এলাকা আলাদাভাবে লকডাউনের আওতায় আনা হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, বাকেরগঞ্জের এই ব্যক্তি জনতা ব্যাংকের সিকিউরিটি গার্ডের চাকুরি করতেন। এদিকে লকডাউন ঘোষনার আগ থেকেই মেট্রোপলিটন ও জেলা পুলিশসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী তাদের নজরদারি ও কার্যক্রম জোড়দার করায় বিগত কয়েকদিন ধরেই বরিশালে
অঘোষিত লকডাউন চলছে। গত ৭ এপ্রিল থেকে বাহিরের জেলা ও উপজেলা হতে বরিশাল নগরে প্রবেশ রোধে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও মহাসড়কে চেকপোষ্ট বসায় পুলিশ। একইভাবে কয়েকদিন আগে থেকেই জেলার গেটওয়ে গৌরনদীতেও বাহিরের জেলা ও উপজেলা হতে প্রবেশ রোধে খেয়া পাড়াপাড় বন্ধ করা সহ নজরদারী বাড়ায় প্রশাসন। যদিও প্রশাসনিক এসব তৎপরতার ফাঁকেই প্রয়োজনের দোহাই দিয়ে অপ্রয়োজনে মানুষ ঘর থেকে বের হচ্ছে।
তবে এবার আনুষ্ঠানিক লকডাউন ঘোষনার পর আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী আরো কঠোর হয়েছে। রোববার দিবাগত রাত থেকেই মানুষকে নিজ ঘরে রাখতে এলাকা ভিত্তিক টহল বৃদ্ধি করা হয়েছে। এছাড়া আজ সোমবার সকাল থেকেই নগরের বিভিন্ন সড়ক, মহাসড়কে চেকপোষ্ট ও টহলের মাধ্যমে পুলিশ সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কাজ শুরু করেছে। নগর ও জেলার গেটওয়েগুলোতে নজরদারি বাড়িয়েছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। জরুরি সেবায় নিয়োজিত ব্যতিত কোন যানবাহন বরিশালে বিশেষ করে নগরে প্রবেশ করেত দেয়া হচ্ছে না। এছাড়া গৌরনদী-কালকিনী (ভূরঘাটা)সীমানায় যৌথ
টহলের ব্যবস্থা করন সহ জিগজ্যাগ পদ্ধতির মাধ্যমে যানবাহন প্রবেশ মনিটরিং করার পাশপাশি পায়ে হেঁটে প্রবেশ বন্ধ করা হয়েছে। সার্বিক বিষয়ে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (উত্তর) মোঃ খাইরুল আলম জানান, হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়াসহ জরুরী সেবার আওতায় থাকা পরিবহন ও ব্যক্তিদের বাহিরে বরিশাল নগরে গত কয়েকদিন ধরেই কাউকে প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না, তেমনি এখান থেকে কেউ বাহিরেও যেতে দেয় হয়নি।
আর পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত এ সিদ্ধান্ত কার্যকর থাকবে, যা বাস্তবায়নে পুলিশের সদস্যরা সড়ক, মহাসড়কে তাদের কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। তিনি আরো বলেন, প্রাণঘাতি মহামারীর ভয়াবহ প্রকোপ থেকে নগরবাসীর সুরক্ষা নিশ্চিত করতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী,পুলিশের আইজিপি ও বিএমপি কমিশনার মহোদয়গণের নির্দেশনা মোতাবেক বরিশাল মেট্রোপলিটন একাকায় কেউ প্রবেশ ও বাইরে যেতে পারবেনা। তিনি বলেন, নিজ নিজ অবস্থানে থেকে আমরা সবাই সচেতন হয়ে অপরকে সচেতন করে তুলতে পারলে মরনব্যাধি করোনা ভাইরাসের প্রকাপ থেকে আমরা
নিরাপদে থাকবো। আর করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ যুদ্ধে অংশ নিতে সবাই ঘরে থাকুন। অযথা বিনা প্রয়োজনে কেউ ঘরের বাইরে বের হলে তাকে গ্রেফতার সহ আইনানুগ ব্যাবস্থা নেয়া হবে। বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মোঃ শাহাবুদ্দিন খান বলেন, হোম কোয়ারেন্টিন, সামাজিক দুরত্ব নিশ্চিত করন ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার জন্য পুলিশ বাহিনী প্রথম থেকেই এখানে কাজ করছে। আর বরিশাল জেলা বিশেষ করে বরিশাল মেট্রোপলিটন এলাকা বিভাগের বাকী জেলাগুলোতে যাওয়ার গেটওয়ে। তাই আমরা এখানে বেশকিছু চেকপোষ্ট বসিয়ে
সম্পূর্ণভাবে যানবাহন নিয়ন্ত্রন করছি।অন্যদিকে নগরীর ঘনবসতি এলাকা পলাশপুর,রসুলপুর, পোর্টরোড মৎস্য বাজার এলাকাগুলোতে সাধারন মানুষের মাঝে করোনার আতঙ্কতো নেই সেই সাথে এই মহামারিকে গুরুত্ব দিচ্ছে কেহ কেহ তাই তারা এখনো বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে দলবদ্ধতা হয়ে আড্ডাবাজী করতে দেখা যাচ্ছে।
অন্যদিকে বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নুরুল ইসলাম নিজে একাই গাড়ীতে ঘুড়ে ঘুড়ে নগরবাশীকে সচেতনতামূলক মাইকিং করে যাচ্ছে।এছাড়া জেলা প্রশাসন কর্তৃক প্রথমবারের মত লকডাউন ঘোষনার পূর্বে নগরীর পলাশপুরের ৫নং ওয়ার্ড ৩ নং গলির শেরে বাংলা সড়ক সহ বিভিন্ন এলাকার স্থানীয় যুব সমাজ এক হয়ে নিজেদের অলিগলি সুরক্ষার জন্য সড়কে বাসদিয়ে ও পথের মধ্যে রিক্সা রেছে বহিরাগত সহ বিভিন্ন লোকজনের চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে।এদিকে এখনো দেখা যাচ্ছে প্রশাসনের এত কঠোর নজরদারীর পরও নিত্য আয়ের অর্থ অনটনের সাধারন শ্রেনীর মানুষদের ঘড়ে আটকে রাখা যাচ্ছে না।
নামাজের সময়সূচি | |
---|---|
December 4, 2024 | |
Fajr | 5:06 am |
Sunrise | 6:22 am |
Zuhr | 11:48 am |
Asr | 3:35 pm |
Maghrib | 5:14 pm |
Isha | 6:31 pm |
Dhaka, Bangladesh |