শিরোনাম
আমাদের কষ্টগুলো কেউ দেখতে পায় না-
মোঃরাকিব হাওলাদার: বরিশাল নগরীর লঞ্চ ঘাট এলাকায় বেড়ে চলেছে ভিক্ষুককে আনাগোনা। যাদের আয়ের উৎস লঞ্চে আগত যাত্রীদের সামান্য কিছু অনুদান। যাদের ঘর-বাড়ি কোন ঠিক নেই
শুতে হয় টার্মিনাল কিংবা বাস্তার পাশে। লঞ্চ ঘাট নিয়মিত ভিক্ষা করেন মোঃ নূরুল ইসলাম (৪৫)। যার দুই মেয়ে এবং দুই ছেলে। একটি মেয়ের বিয়ে দেওয়া পরও ৩ ছেলে-মেয়ের ভরণপোষনের দ্বায়িত্ব নেতে হয় নুরুল ইসলামের। সে জানায়, লঞ্চ ঘাট এলাকায় তিন বছর ধরে ভিক্ষা করছেন। তার পরিবার চালানোর একমাত্র উপায় হলো লঞ্চে আগত যাত্রীদের অনুদান। নুরুল ইসলামের বাসা চাঁনমাড়ির বঙ্গবন্ধু কলনির মিলন হাওলাদারের বাড়িতে। নুরুল ইসলাম আরো জানায়, বৃষ্টির দিনে যেদিন ভিক্ষা করতে পারি না। সেদিন আমিসহ পরিবারের সকলকে না খেয়ে থাকতে হয়। অনেক মানুষ আমাদের ঘৃনা করেন। আমাদের কষ্টগুলো কেউ দেখতে পায় না। সে বলেন, শুনেছি মেয়র মহাদয়ের মন অনেক উদার আমার ও আমার পরিবারের জন্য যদি সে কোন একটা ব্যবস্থা করে দেন তাহলে খুব ভালো হ’ত।
আমাদের সমাজের সকল বিত্তশালীদের এগিয়ে আসা উচিত এরকম অসহায় দুস্থ মানুষের পাশে থাকার জন্য । তাহলে আমাদের বরিশাল লঞ্চঘাট এলাকা নয় বরিশাল শহর সহ সারা দেশে ভিক্ষুক এবং অসহায় মানুষের আর অসহায়ত্বের মতো ভিক্ষা করার প্রয়োজন হবে না।