শিরোনাম
করোনাভাইরাসের সংক্রমণের ঝুঁকি নিয়ে সামাজিক নিরাপত্তা উপেক্ষা করে কর্মস্থলে যেতে শুরু করেছে মানুষ। শনিবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে যাত্রীদের ভিড় লক্ষ করা যায়।
দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা যাত্রীরা বলেন, আগামীকাল গার্মেন্টসসহ বেসরকারি অনেক প্রতিষ্ঠান খোলা থাকার কারণে চাকরি বাঁচানোর জন্য তাদের কর্মস্থলে যেতে হচ্ছে। তারা বলেন, রাস্তায় গণপরিবহন না থাকার কারণে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে ব্যাটারিচালিত মাহেন্দ্র অথবা ভ্যানে করে দৌলতদিয়া পর্যন্ত আসতে হয়েছে।হায়াত শিপলু বলেন, আগামীকাল পোশাক কারখানাসহ অনেক বেসরকারি প্রতিষ্ঠান খোলা থাকার কারণে যাত্রীদের যেতে হচ্ছে। আমার বিআইডব্লিটিসির দৌলতদিয়া কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবহিত করেছি ব্যবস্থা নেবার জন্য।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্পোরেশন (বিআইডব্লিটিসির) দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের ব্যবস্থাপক মো. আবু আব্দুল্লাহ রনি বলেন, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ছোট-বড় পাঁচটি ফেরি চলাচল করলেও গাড়ীর চাপসহ যাত্রীর চাপ থাকার কারণে আরো তিনটি ফেরি যুক্ত করে আটটি ফেরি দিয়ে যাত্রী ও পরিবহন পারাপার করা হচ্ছে।
যাত্রীদের অধিক চাপ থাকার কারণে অনেক পণ্যবাহী পরিবহনকে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করে ফেরির নাগাল পেতে হচ্ছে। আমাদের ফেরি বন্ধ করার কোন নির্দেশনা নেই আর সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে প্রশাসন রয়েছে, তারা ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। এটা আমাদের দায়িত্ব না।
বিডি প্রতিদিন