শিরোনাম

১৭ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৩রা আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | রাত ৪:০০

সর্বোচ্চ সতর্কতার মাস এপ্রিল

ডেইলি বরিশাল সংবাদ সংবাদ সংগ্রহে সারাক্ষন

প্রকাশিত: এপ্রিল ১, ২০২০ ১:৩৩ অপরাহ্ণ
Print Friendly and PDF

করোনাভাইরাসের সংক্রমণে বাংলাদেশে এপ্রিল মাসকে ‘পিক টাইম’ (সর্বোচ্চ ব্যাপ্তির সময়) মনে করছেন ভাইরাস বিশেষজ্ঞরা। প্রথম আক্রান্ত শনাক্ত, আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি এবং বিদেশফেরতদের আসার ওপর নির্ভর করে এ আশঙ্কা করা হচ্ছে। তাই দেশে ভাইরাসের বিস্তার রোধে এপ্রিলে সর্বোচ্চ সতর্কতা আরোপ করেছেন সংশ্লিষ্টরা।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সূত্রে জানা যায়, করোনাভাইরাসের বংশবিস্তারে সময় লাগে ৫ দশমিক ৫ দিন। আক্রান্ত হওয়ার ১২ দিনের মধ্যে মানুষের শরীরে এর লক্ষণ দেখা দিতে শুরু করে। লক্ষণ দেখা যাক বা না যাক আক্রান্ত মানুষ ভাইরাসটির বিস্তার ঘটাতে সক্ষম। এর অর্থ হলো আক্রান্ত হওয়া থেকে ১৪ দিন পর্যন্ত কোনো ব্যক্তি সংক্রমণের বিস্তার ঘটাতে পারে।

দেশে ১৮ মার্চ থেকে রোগীর সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে। এ সময়ের পর আক্রান্ত ব্যক্তিদের লক্ষণ প্রকাশ পেতে পারে মার্চের শেষ সপ্তাহ থেকে এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে। এর মধ্যে তাদের মাধ্যমে সংক্রমিত হতে পারে অনেকে। এই চক্রকে যদি ঠেকানো না যায় তাহলে এপ্রিলের মধ্যে দেশে মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়তে পারে প্রাণঘাতী এই ভাইরাস।

স্বাস্থ্যসেবা বিশেষজ্ঞ ডা. মালিহা মান্নান আহমেদ বলেছেন, প্রথম আক্রান্ত শনাক্ত থেকে ভাইরাসের সংক্রমণের সংখ্যা চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছতে প্রায় দেড় থেকে দুই মাস সময় লাগে। বাংলাদেশে এপ্রিলের মাঝামাঝি অথবা শেষের দিকে অনেক বেশি আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা করছি। আমরা একটি সীমিত সম্পদের দেশ। তাই অল্প কয়েক হাজার আক্রান্ত রোগীও স্বাস্থ্যসেবার চূড়ান্ত পরীক্ষায় ফেলতে পারে। জানা যায়, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দুবার করোনাভাইরাস পরীক্ষার ফল নেগেটিভ এলেই কেবল আক্রান্তরা বিচ্ছিন্নতা থেকে ছাড়া পেতে পারেন।

স্বেচ্ছায় বিচ্ছিন্ন থাকা কোনো ব্যক্তির লক্ষণ প্রকাশ পেলে তাদের পরিবারের সদস্যদেরও কোয়ারেন্টাইনে রাখতে হবে। তাই ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনের সময়সীমা মানা না হলে বিপর্যয়কর পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। কোনো মহামারীতে একজন আক্রান্ত ব্যক্তির মাধ্যমে সরাসরি কতজন আক্রান্ত হতে পারে তা বেসিক রিপ্রোডাকশন নম্বর বা আর.ও নামে পরিচিত। কভিড-১৯ এর মতো সংক্রামক রোগের ক্ষেত্রে এই আর.ও. বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কেননা এ নতুন ধারার সংক্রামক রোগ সবাইকে সন্দেহভাজনের তালিকায় ফেলেছে।

জার্নাল অব ক্লিনিক্যাল মেডিসিনে প্রকাশিত এক গবেষণা অনুযায়ী কভিড-১৯ এর আর.ও ২ দশমিক ৪৯ থেকে ২ দশমিক ৬৩ পর্যন্ত হতে পারে। এর অর্থ হলো একজন আক্রান্ত ব্যক্তি গড়ে ২ দশমিক ৫ জনেরও বেশি মানুষকে আক্রান্ত করতে পারে। একজন আক্রান্ত ব্যক্তি ১০ জন বা ১০০ জনের মধ্যেও রোগটি ছড়িয়ে দিতে পারে। তাদের চরম সংক্রামক বলা হয়ে থাকে।

চীন, ইতালি ও যুক্তরাষ্ট্রে এরকম চরম সংক্রামক থাকার প্রমাণ মিলেছে। তাই সামাজিক মেলামেশা বন্ধ করে ঘরে থাকাই হচ্ছে ভাইরাসের বিস্তার ঠেকানোর মহৌষধ।

শেয়ার করুন :

বরিশাল সংবাদ ২৪

বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন।

বরিশাল সংবাদ ২৪

Call

নামাজের সময়সূচি
June 17, 2025
Fajr 3:43 am
Sunrise 5:07 am
Zuhr 11:59 am
Asr 4:39 pm
Maghrib 6:50 pm
Isha 8:14 pm
Dhaka, Bangladesh
June 2025
M T W T F S S
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
30  

সংবাদ সংগ্রহে সারাক্ষণ