শিরোনাম
বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করা প্রায় প্রতিটি দেশ ৬৫ বছরের বেশি বয়সীদের সেলফ কোয়ারেন্টিনে থাকার পরামর্শ দিয়েছে। কারণ, প্রাণঘাতী এ ভাইরাসে বয়স্কদের ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি।
আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। পাশাপাশি শরীরে হার্টের অসুখ, ডায়াবেটিস ও ক্যানসারসহ নানা রোগ বাসা বাঁধে। এ কারণে শুধু করোনাভাইরাস নয়, যে কোনো ধরনের সংক্রমণের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকেন বয়স্করা।
তাদের শরীরে ভাইরাসের সংক্রমণ ঘটলে তার সঙ্গে লড়াই করে উঠতে পারে না রোগ প্রতিরোধকারী কোষগুলো। এ সময় শরীরে এক ধরনের আলোড়ন তৈরি হয়; যা সংক্রমণের সঙ্গে লড়াইয়ের সময় অতিরিক্ত পরিমাণে কেমিক্যাল উৎপাদন করে। এমন লড়াই চালাতে গিয়ে শরীরে বিভিন্ন ধরনের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বিকল হয়ে যায়। যে কারণে তা বড় ধরনের ক্ষতির শঙ্কা তৈরি করে।
কোনো ব্যক্তির রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার একটি প্রধান অংশ হল শ্বেতরক্তকণিকা। এগুলো মানব শরীরের অস্থিমজ্জায় অপরিণত কোষ হিসেবে উৎপাদিত হয়। পরে তা বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে ভ্রমণ করে রোগ প্রতিরোধকারী সেনায় পরিণত হয়। বয়স্ক ব্যক্তিদের অস্থিমজ্জায় এই শ্বেতকোষগুলোর উৎপাদন কমে আসে। ফলে তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও কমে যায়।
ইতালিতে বৃদ্ধ জনগোষ্ঠীর সংখ্যা বেশি হওয়ায় দেশটিতে করোনায় মৃত্যুহার বিশ্বে সর্বোচ্চ। দেশটিতে এই ভাইরাসে যারা মারা গেছেন, তাদের গড় বয়স ৭৮ বছর।
করোনাভাইরাসে মৃত্যুর ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে আছেন হৃদযন্ত্রের রোগে আক্রান্তরা। এখন পর্যন্ত করোনায় তাদের মৃত্যুর হার সাড়ে ১০ শতাংশ। অন্যদিকে ডায়াবেটিসের মতো যারা অন্যান্য গুরুতর রোগে আক্রান্ত তাদের মৃত্যুর ঝুঁকিও বেশি।
শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে দুর্বল করে ডায়াবেটিস। যে কারণে কোনো ধরনের ভাইরাসের সংক্রমণ ঘটলে সেটির সঙ্গে লড়াই চালাতে পারেন না ডায়াবেটিস আক্রান্তরা। ফুসফুসের সমস্যা কিংবা অ্যাজমা রোগীদের ক্ষেত্রেও একই ধরনের সমস্যা তৈরি করে করোনাভাইরাস। উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের ৬ এবং ক্যানসার রোগীদের মৃত্যুর হার ৫ দশমিক ৬ শতাংশ।
বলা হচ্ছে, ৮০ বছরের বেশি বয়সী যারা আগে থেকেই রোগে আক্রান্ত, তারা এই ভাইরাসে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে আছেন। ৮০ বছরের ঊর্ধ্বের বয়সীরা এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলে তাদের মৃত্যুর আশঙ্কা প্রায় ১৫ শতাংশ। ৫০-এর নিচে যারা করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন, তাদের মৃত্যুর হার মাত্র ০ দশমিক ২ থেকে ০ দশমিক ৪ শতাংশ।
৫০-৫৯ বছর বয়সীদের প্রাণহানির হার ১ দশমিক ৩ শতাংশ। এ ছাড়া ৬০-৬৯ বছর বয়সীদের ক্ষেত্রে মৃত্যুর এই হার ৩ দশমিক ৬ এবং ৭০-৭৯ বছর বয়সীদের মৃত্যুর হার ৮ শতাংশ। এ ছাড়া যারা আগে থেকে গুরুতর রোগে ভুগছেন তাদের তুলনায় কিছুটা অসুস্থ মানুষের মৃত্যুর হারে বেশ পার্থক্য রয়েছে।
নামাজের সময়সূচি | |
---|---|
November 8, 2024 | |
Fajr | 4:51 am |
Sunrise | 6:04 am |
Zuhr | 11:42 am |
Asr | 3:39 pm |
Maghrib | 5:19 pm |
Isha | 6:33 pm |
Dhaka, Bangladesh |