শিরোনাম
ভিসানীতি লঙ্ঘনকারীসহ (অবৈধ) সবার যথাযথ চিকিৎসা দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ।
বাদশাহ সালমানের নির্দেশনা অনুসারে করোনার উপসর্গ দেখা দিলেই সবাইকে হাসপাতালে যাওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। এ নির্দেশনায় ভিসানীতি লঙ্ঘনকারী অর্থাৎ যারা দেশটিতে অবৈধ তারাও অন্তর্ভুক্ত হবেন। খবর আল-আরাবিয়া ও আরব নিউজের।
সৌদি আরবের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ভাইরাসটির বিস্তার রোধে সরকার কর্তৃক জারি করা করোনাভাইরাস সাবধানতা মেনে চলতে জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
এছাড়া স্বাস্থ্য নির্দেশিকা যেমন- হাতধোয়া এবং করমর্দন না করা এবং শ্বাসতন্ত্রের অসুস্থতার লক্ষণগুলো দেখা দেয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ বন্ধ করার ওপর জোর দিয়েছে।
জাতীয় দুর্যোগের এ সময়ে জনগণকে অবশ্যই আইসোলেশন এবং কোয়ারেন্টিনের নির্দেশাবলী মেনে চলতে বলা হয়েছে।
এদিকে জেদ্দা শহরে প্রবেশ ও শহর থেকে বের হওয়ার ওপরও নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। কারফিউ শুরুর সময় সন্ধ্যা ৭টার পরিবর্তে বিকাল ৩টা থেকে করা হয়েছে।
এখন থেকে প্রতিদিন সন্ধ্যা ৭টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত এ কারফিউ কার্যকর করা হবে। এর আগে একই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয় পবিত্র মক্কা, মদিনা, কাতিফ ও রিয়াদ শহরের জন্য।
কারফিউ লঙ্ঘনকারীদের ১০ হাজার সৌদি রিয়াল (২ লাখ ২৭ হাজার ৫৯ টাকা) জরিমানার ব্যবস্থা করা হয়েছে এবং দ্বিতীয়বার কেউ কারফিউ লঙ্ঘন করলে তাকে দ্বিগুণ জরিমানা করা হচ্ছে।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে গত সোমবার (২৩ মার্চ) থেকে সৌদি আরবজুড়ে ২১ দিনের কারফিউ জারি করেন দেশটির বাদশাহ।
এছাড়াও ভাইরাস সংক্রমণ রোধে দেশটিতে ১৫ মার্চ থেকে সব আন্তর্জাতিক ফ্লাইট স্থগিত করা হয়েছে। অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট বন্ধ হয়েছে ২১ মার্চ থেকে।
মক্কা ও মদিনার দুই পবিত্র মসজিদসহ সব মসজিদ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, শপিং মল, রেস্টুরেন্টসহ জনসমাগমের সব স্থান বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। রোববার নতুন করে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরও বৃদ্ধি করেছে সৌদি আরব।