শিরোনাম
‘আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন? আপনার তো কোয়ারেন্টিন চলছে। সবকিছু ঠিকঠাক? হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আপনার সঙ্গে যারা বিদেশ থেকে এসেছেন তাদেরকেও সচেতন করে দিয়ে বলবেন হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার জন্য। এখন দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতি চলছে, ইনশাআল্লাহ সবাই মিলে এই পরিস্থিতি মোকাবেলা করব।’
হোম কোয়ারেন্টিনে থাকা প্রবাস ফেরতদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে এই কথাগুলো বলছেন কুমিল্লা সেনানিবাসের ৬ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের মেজর মো. মাহফুজ আলম।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় রোববার দুপুর পর্যন্ত ২ হাজার ৬৪৬ জনকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে ১০৯ জনকে। এ ছাড়া মেয়াদ পেরিয়ে যাওয়ায় ১ হাজার ৭৯৫ জন প্রবাসীর হোম কোয়ারেন্টিনের মেয়াদ শেষ হয়েছে। বর্তমানে ৯৭২ জন প্রবাসীকে হোম কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন।
রোববার সকাল ১০টা থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরশহরের কাজীপাড়া মহল্লায় গিয়ে প্রবাসফেরতদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে নিয়ম মেনে ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার পরামর্শ দেন মেজর মাহফুজ। বৈশ্বিক এই দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতিতে সরকারি নির্দেশনা মেনে যারা হোম কোয়ারেন্টিনে আছেন তাদের সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানানো হয়।
মেজর মো. মাহফুজ আলম সাংবাদিকদের বলেন, গত ২৬ মার্চ থেকে আমরা মাঠপর্যায়ে কাজ শুরু করেছি। আমরা চেষ্টা করছি বাড়ি বাড়ি গিয়ে জনসাধারণের মাঝে সচেতনতা তৈরি করার। সবাই হোম কোয়ারেন্টিন মেনে চললে আমরা করোনাভাইরাস প্রতিরোধ করতে পারব।
এ সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) এবিএম মশিউজ্জামান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শাহ মো. শরীফ ও পৌরসভার স্যানিটারি ইন্সপেক্টর রেজাউল করিম উপস্থিত ছিলেন।
প্রবাস ফেরতদের হোম কোয়ারেন্টিন, জনসমাগম এড়ানো এবং সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে গত ২৬ মার্চ থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কাজ করছেন সেনাবাহিনীর সদস্যরা। টহল কার্যক্রম পরিচালনার পাশাপাশি সাধারণ মানুষকে করোনাভাইরাস সম্পর্কে সচেতন করার কাজও করছেন তারা।
এ দিকে বেলা ১১টার দিকে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শহরের সদর হাসপাতাল সড়কে জীবাণুনাশক ছিটিয়েছেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের কর্মীরা।
এ সময় জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পঙ্কজ বড়ুয়াসহ জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।