শিরোনাম
ভোলা থেকে যাত্রীবাহী বাসে চিংড়ি রেণুপোনা পাচার করে বরিশালে নিয়ে আসার প্রাক্কালে সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক সুজন ও স্থানীয় জনতা মিলে গাড়িটি ধরে। এসময় পাচারে জড়িত সাত ব্যক্তি ধরা পড়লেও পরবর্তীতে পালিয়ে আত্মরক্ষা করে। বুধবার রাতে বরিশাল কর্ণকাঠি এলাকার এই ঘটনায় ওই যাত্রী পরিবহন থেকে সাত লাখের রেণুপোনা উদ্ধার করে বিক্ষুব্ধ জনতা। পরে রেণুপোনাগুলো বরিশাল শহরের বিবির পুকুরে অবমুক্ত করা হয়েছে।প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে- ভোলা থেকে চিংড়ি রেণুপোনা সংগ্রহ করে বুধবার ভোর রাতে একটি যাত্রী পরিবহনে বরিশাল হয়ে খুলনা পাচারের উদ্দেশে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। ভোলার নসু মিয়া ও বরিশালের পাতিল হারুনের যোগসাযোশে রেণু পাচারের এই খবরে কর্ণকাঠিতে স্থানীয় শত শত জনতা সড়কে অংশ নিয়ে পরিবহনটি আটকে দেয়। পরে এতে তল্লাশি করে সাতটি ড্রামভর্তি আনুমানিক ১০ লাখ টাকা মূল্যে অন্তত ৫ লাখের বেশি চিংড়ি রেণু উদ্ধার করে। এসময় পাচারে জড়িত ভোলা জেলার বিভিন্ন উপজেলার সাত শ্রমিককে আটক করে। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার রেণু ও আটক ব্যক্তিদের পুলিশ হস্তান্তরের উদ্যোগ নেয়। কিন্তু পুলিশ আসতে কিছুটা বিলম্ব হওয়ায় কৌশলে সাত ব্যক্তি পালিয়ে যায়।
স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি জানান, পরিবহনটি আটকের পরে রেণুপোনা রেখে ছেড়ে দেওয়া হয়। তবে পাচারে জড়িতদের আটকে রেখে বন্দর থানা পুলিশে খবর দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু পুলিশ যথা সময়ে না আসায় আটক ব্যক্তিরা পালিয়ে গেছে। পরে স্থানীয়রা উদ্যোগ নিয়ে রেণুপোনাগুলো শহরের ঐতিহ্যবাহী বিবির পুকুরে অবমুক্ত করে। এসময় বরিশাল সদর উপজেলা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান সুজনও উপস্থিত ছিলেন।
একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়- ভোলার নসু মিয়া ও বরিশালের পাতিল হারুন নদী থেকে অবৈধভাবে রেণুপোনা শিকার করে দেশের দক্ষিণ জেলা খুলনায় পাচার করে আসছে। স্থানীয় পুলিশ-প্রশাসনকে ম্যানেজ এই বাণিজ্য চালিয়ে আসায় তাদের লাগাম টেনে ধরা যায়নি। শোনা যাচ্ছে তাদের এই অবৈধ ব্যবসায় বরিশালের এক সংবাদকর্মী নতুন করে যুক্ত হয়েছেন।
স্থানীয় ওই সূত্রটি জানায়- বুধবার ভোর রাতে রেণু আটকের পরে সেই সংবাদকর্মী ছাড়িয়ে নিতে বেশ কয়েক দফা ফোনও করেছিলেন। কিন্তু বিক্ষুব্ধ জনতা তাদের সিদ্ধান্তে অনঢ় থেকে উদ্ধার রেণুগুলো পুকুরে অবমুক্ত করে।’