শিরোনাম
বিদ্যমান করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতিতে মসজিদে নামাজ পড়া নিয়ে দেশের আলেমদের মতামত নিচ্ছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন (ইফা)।
মঙ্গলবার সকাল ১০-১২টা পর্যন্ত দেশের বিখ্যাত আলেম-ওলামাদের সঙ্গে বৈঠক করেন ইফার মহাপরিচালক (ডিজি) আনিস মাহমুদসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
তবে এ বিষয়ে এখনও কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি সরকারি এ প্রতিষ্ঠানটি। কাল-পরশুর মধ্যে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত জানানো হবে বলে যুগান্তরকে নিশ্চিত করেছেন প্রতিষ্ঠানটির ডিজি আনিস মাহমুদ। তিনি বলেন, আমরা আলেমদের মতামত নিয়েছি। এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি, হলে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হবে।
তবে বৈঠকে উপস্থিত একাধিক আলেম জানান, তারা মতামত দিয়েছেন- মসজিদ বন্ধ থাকবে না। তবে নিজ নিজ গৃহে অবস্থান করে সুরক্ষা পদ্ধতি অবলম্বন করে যথাসম্ভব জামাতবদ্ধ হয়ে নামাজ পড়বেন। মসজিদে মুসল্লিদের উপস্থিতি সীমিত ও ক্ষুদ্র পরিসরে রাখা হবে। ব্যক্তিগত সুরক্ষা অবলম্বন করে ইমাম, মুয়াজ্জিন ও সংশ্লিষ্টরা আজান এবং জামাত বজায় রাখবেন। ইফার বৈঠকে এই মতই বেশি আসে। তবে ইফার পক্ষ থেকে এখনও আনুষ্ঠানিক কোনো সিদ্ধান্ত জানানো হয়নি।
জানা গেছে, করোনার সংক্রমণ বিস্তাররোধে সৌদি আরব মক্কা-মদিনার মসজিদুল হারামাইনসহ সব মসজিদ বন্ধ করে দিয়েছে। কুয়েত, মিসর, মালয়েশিয়াসহ আরও কয়েকটি মুসলিম প্রধান দেশে মসজিদে নামাজ বন্ধ রাখা হয়েছে। বাংলাদেশে কোনো কোনো আলেম মসজিদ বন্ধের বিরোধিতা করেছেন। উল্টো আন্দোলনের হুশিয়ারি দিয়েছেন কেউ কেউ।
এমন পরিস্থিতিতে করোনা সংক্রমণ রোধে দেশের মসজিদগুলোতে মুসল্লিদের আসার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে মঙ্গলবার বৈঠকে বসে ইসলামিক ফাউন্ডেশন। বৈঠকে অংশ নিতে আলেমদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
ইফা ডিজি আনিস মাহমুদ মঙ্গলবার সকালে আগারগাঁও কার্যালয়ে আলেমদের নিয়ে বৈঠক করেন। এ ছাড়া টেলিফোনে দেশের বিভিন্ন জেলার আলেমদের এ বিষয়ে মতামত নেয়া হয়।
সূত্র জানায়, টোলারবাগে করোনায় আক্রান্ত হয়ে দু’জন মারা যাওয়া ব্যক্তি বিদেশ ফেরতদের সংস্পর্শে ছিলেন না। তবে তারা নিয়মিত মসজিদে নামাজ পড়তে যেতেন। এরপর মসজিদের বিষয়টি গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। তবে ইতিমধ্যে ওয়াজে অনেক বক্তা মসজিদ বন্ধ করা যাবে না বলে হুশিয়ারি দিচ্ছেন।
এর আগে ২০ মার্চ এক বিজ্ঞপ্তিতে ইফা জানায়, বাসা থেকে অজু করে নফল ও সুন্নত নামাজ পড়ে শুধু জুমার ফরজ নামাজ আদায় করতে মসজিদে আসতে। একই সঙ্গে অসুস্থ ব্যক্তি, জ্বর, হাঁচি, কাশিতে আক্রান্ত এবং বিদেশ ফেরতদের মসজিদে না যাওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছিল। এ ছাড়া লাইলাতুল মিরাজের আয়োজনও বন্ধ রাখা হয়।